ট্রাভেল এজেন্সির মালিকানা হস্তান্তরের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) বিল-২০২০ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। বিলে এই আইনের বিধান লঙ্ঘনে ছয় মাস জেল, পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
সোমবার জাতীয় সংসদে এ সংক্রান্ত বিলটি উত্থাপন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে বিলটি উত্থাপনের বিরোধীতা করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মো. ফখরুল ইমাম।
তবে তার প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলটি উত্থাপনের বিরোধিতা করে সংসদ সদস্য মো. ফখরুল ইমাম বলেন, বিদ্যমান আইনটি বেশ শক্ত। আমরা ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর টিকিট দুর্নীতিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির খবর জানি। এখন কেন বিলটি নরম করা হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে কোনো অপরাধের জন্য ট্রাভেল এজেন্সিকে জরিমানার সুযোগ নেই। কর্তৃপক্ষ তাদের নিবন্ধন স্থগিত বা বাতিল করে। আইনটি সংশোধন হলে জরিমানার সুযোগ পাওয়া যাবে।
ট্রাভেল এজেন্সিগুলো যৌক্তিক কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধনের আবেদন করতে না পারলে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে জরিমানা দিয়ে আবেদন করতে পারবে।
এছাড়া বিদ্যমান আইনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধনের আবেদন না করলে ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যেত।
আইনে বলা হয়েছে, কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে ছয় মাস জেল, পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। এ সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রযোজ্য হবে। এছাড়া কোন ট্রাভেল এজেন্সি ঠিকানা পাল্টাতে হলে অনুমতি দিতে হবে।