প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে প্রাণ হারানো সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগে সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈনের পরিবারের সকল দায়িত্ব বহন করবে সরকার।এদিকে ডা. মঈনের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে আইইডিসিআরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, ‘আমি ডা. মঈনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে সাথে সাথেই কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ছুটে গিয়েছি। সেখানে তাঁর মৃতদেহ দেখেছি এবং ওনার স্ত্রীর সাথে কথা বলেছি।’
ডা. মঈনের মৃত্যুর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিস্তারিত জানিয়েছেন উল্লেখ করে অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীও ডা. মঈনের মৃত্যুর খবর শুনে শোক জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তার পরিবারের সকল প্রকার দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডা. মঈনের মৃত্যু আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। ‘তিনি জাতির জন্য যে ত্যাগ রেখে গেছেন, আমরা তা শ্রদ্ধাভরে স্মরণে রাখবো।’
উল্লেখ্য, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ডা. মঈন উদ্দিন। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৭ মার্চ রাতে সিলেটের নিজ বাসা থেকে ওই চিকিৎসককে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে নেয়া হয়। প্রথমে হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হলেও পরে সাড়ে ১১টার দিকে কেবিনে নিয়ে আসা হয়। অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে তার শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখা হয়।
গত রোববার (৫ এপ্রিল) সিলেটে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এই চিকিৎসককে সনাক্ত করা হয়। সেদিন রাতে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল।
ডা. মঈন সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিসিন বিভাগের কনসালটেন্ট ছিলেন দীর্ঘদিন। এর আগে ২০১৭ সালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থেকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে যোগদান করেন।