ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় গাজীপুরের কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় আইনটি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
একইসাথে আইনটির কিছু ধারা বিকর্তিত উল্লেখ করে দেশব্যাপী শুরু হয় বিক্ষোভ। এমন প্রেক্ষাপটে সরকার এখন আইনটির অপপ্রয়োগ বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে।
আনিসুল হক বলেছেন, এ আইনে কোনো অপরাধের অভিযোগ এলে পুলিশের তদন্তের আগে কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না বা তার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া যাবে না-এমন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জামিন হওয়া না হওয়ার প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, সাজা যতটা হলে জামিন হবে এবং যতটা হলে জামিন হবে না-ঠিক সেই প্রিন্সিপালটা ফলো করে আমরা বিধান করেছি। সারা পৃথিবীতেই এটা করা হয়।
এমনকি এ উপমহাদেশেও। বিষয়টা নিয়ে আমরা আলাপ আলোচনা করছি। সব আইনই যখন করা হয়, তখন কিন্তু একটা ট্রায়াল অ্যান্ড এরর বা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যায়। কথা হচ্ছে, এখানে যদি কিছু অ্যাবিউজ এবং মিসইউজ হয়, সেটা কি করে বন্ধ করা হবে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।
বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সঙ্গেও আলোচনা করার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের অফিসের সঙ্গে আমি আলাপ চালাচ্ছি।
সারা বিশ্বের সঙ্গে আমরা এটার তুলনা করছি। মিসইউজ যেগুলো ধরা পড়ছে বা অ্যাবিউজ যেগুলো হচ্ছে, সেগুলোর জন্য একটা চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স সিস্টেম কীভাবে ডেভেলপ করা যায়, এ আইনের মধ্যেই কীভাবে সেটা থাকতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা করছি।
আওয়ামী লীগ সরকার নানা বিতর্কের মধ্যেই ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করে। আইনটি যখন খসড়া করা হয়, তখনই গণমাধ্যম এবং মানবাধিকার কর্মীরা আপত্তি তুলেছিলেন আইনের অপপ্রয়োগ নিয়ে। এই আইনে ৯ মাস ধরে আটক থাকা লেখক মুশতাকের মৃত্যুর পর অভিযোগ উঠেছে যে, ছয় বার আবেদন করেও জামিন মেলেনি তার।
বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, এই আইনের কারণে গণমাধ্যমের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের মধ্যেও ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মত প্রকাশ বা বাক স্বাধীনতা খর্ব করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহনাজ হুদা বলেন, “ভিন্নমত যাতে না আসে, সেজন্য সরকার আইনটি করেছিল বলে আমি মনে করি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটা ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সত্যি কথা বলতে, আমাদেরই কিন্তু ভয় লাগে কোন কিছু সম্পর্কে একটা কমেন্ট করতে। একটা সেলফ সেন্সরশিপ কিন্তু এসে গেছে সবার মনে।
তবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা বাক স্বাধীনতা খর্ব করার অভিযোগ মানতে রাজি নন আইনমন্ত্রী এবং সরকারের অন্য মন্ত্রীরাও।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে সরকার এবং দলের উচ্চ পর্যায়ে তারা আলোচনা করছেন। ডিজিটাল দুনিয়ায় নানা অপরাধের প্রেক্ষাপটে আইনটির প্রয়োজন আছে বলেই সরকার মনে করছে।
ড. রাজ্জাক বলেন, আইনের অপব্যবহার হচ্ছে কীনা-সেটা আমরা অবশ্যই পর্যালোচনা করছি। এটা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনাও হচ্ছে।
তারপরও সাথে সাথে এটাও আমাদের চিন্তা করতে হচ্ছে যে, প্রযুক্তিগত এই সুযোগ বা সুবিধাটাকে আমরা অপব্যবহার করছি কিনা-এবং দেশের উন্নয়ন ও শান্তি আমরা বিঘ্নিত করছি কি না-এটাও আমাদের দেখতে হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, সরকার দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আইনটি নিয়ে বিতর্ক বা সমালোচনার কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের ভাবমূর্তির ওপর দেশে ও বিদেশে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment