‘ভিশন-২০২১’ প্রচারণাকে সামনে রেখে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখিয়ে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ২০২১ সালের আগেই সেই স্বপ্ন এখন অনেকখানি বাস্তবে পূরণ হয়েছে। বলা হচ্ছে, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হলে তার সফল বাস্তবায়নের রূপকার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও চট্টগ্রামের সবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এর ছেলে মাহবুব রহমান রুহেল।
সাম্প্রতিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এক বক্তব্যে জয় ও রুহেলের ভূমিকা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘১৯৯৯ সালে আমার পরামর্শে আমার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও চট্রগ্রামের আমাদের গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ ভাইয়ের ছেলে মাহবুব রহমান রুহেল বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটার টেকনোলজি ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন ঢাকায়। বেইস লিমিটেড নামে ওই ট্রেনিং সেন্টার বর্তমানে দেশের প্রথম সারির সফ্টওয়্যার টেকনোলজি ফার্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। যার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নবীজ বপন হয়।
বলেছিলেন জয় আর রুহেল দুজন মিলে বাংলাদেশে প্রথম ফার্মগেটে একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার শুরু করে।
২০১০ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিয়মিত সদস্য পদ গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার সেই মেয়াদেই অবৈতনিক এবং খণ্ডকালীন হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয় জয়কে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত এরপর থেকেই ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন করে উদ্যম সৃষ্টি হয়।
জয় এবং রুহেল দুজনই যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক শেষ করেন। ঐতিহ্যবাহী রাজনীতির ইতিহাস থাকা পরিবারের সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় এরপর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসন বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
আনুষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন শেষে জয় একজন আইটি প্রফেশনাল হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিতে ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠিত করেন জয়। হয়ে ওঠেন একজন সফল আইটি উদ্যোক্তা।আর রুহেল বাংলাদেশে ব্যাবসা করছন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে ইন্টারনেটকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেন সজীব ওয়াজেদ জয় ও মাহবুব রহমান রুহেল । ইউনিয়ন পর্যায়ের পাশাপাশি চর বা পার্বত্য অঞ্চলের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। যেসব এলাকা ইন্টারনেট সুবিধার বাইরে আছে, কাজ চলছে সেগুলোতেও।
আইসিটি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে ইউনিয়ন পর্যায়ে গড়ে তোলা হয় ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার। ২০১৪ সালে উচ্চ গতির ফাইবার অপটিক ক্যাবল দিয়ে জেলা পর্যায়কে ইন্টারনেট সুবিধার আওতায় আনা হয়। ২০১৫ সাল থেকে সেটি উপজেলা পর্যায়ে সম্প্রসারণ শুরু হয়। প্রায় তিন হাজার ইউনিয়নে বর্তমানে ফাইবার অপটিক সংযোগ রয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা আছে, ২০২১ সাল নাগাদ দেশের সকল ইউনিয়ন অর্থাৎ প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার পৌঁছে দেওয়ার।
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে প্রধানমন্ত্রীকে গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকর পরামর্শ দিয়ে থাকেন সজীব ওয়াজেদ জয়। প্রধানমন্ত্রী দেশের ডিজিটাল উন্নয়নে যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার পেছনে ছেলে জয়ের অবদান অনস্বীকার্য।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment