৫ হাজার বেডের হাসপাতাল হবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এখানে আরও অসংখ্য চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ান নিয়োগ দেয়া হবে। একই সঙ্গে হাজার হাজার রোগী এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারবে। এটা নিয়ে সরকারের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। আর এর মাধ্যমে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে আমাদের স্বাস্থ্য সেবার তুলনা করা যাবে।
বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হাসপাতাল হচ্ছে ৭০০০ বেডের। আর ঢাকা মেডিকেল কলেজের বর্তমান বেড সংখ্যা 2500, নতুন হবে 5000 । মোট 7500 বেড নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড়।
দেশে একটা সময় টিভি, কলেরা, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে গ্রাম থেকে গ্রাম সাফ হয়ে যেত। এসব সংক্রমক রোগ নিয়ে খুবই আতঙ্ক ছিলো, এখন সে অবস্থা নেই। এগুলো নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। এখন অসংক্রমক রোগ নিয়ে ভাবছে সরকার। দেশে ক্যান্সার, কিডনি, ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেশার এ ধরণের রোগ বাংলাদেশে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার টার্গেট হলো কিভাবে এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
দেশে গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ছিলো না, আমরা শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে এবং এটার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পাশেই জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) রয়েছে, এটাকেও এখন ১ হাজার বেডে উন্নিত করা হয়েছে। এটি পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান এটি। ১ হাজার বেডের অর্থোপেডিক হাসপাতাল পৃথিবীর কোথাও নেই।
অনেকগুলো ইনস্টিটিউট হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউট, তারা অনেক সেবা দিচ্ছে। এটি পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড় বার্ন ইনস্টিটিউট, এটা বাংলাদেশের জন্য গর্বের বিষয়। কিছুদিন আগে বেশ কয়েকটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই বার্ন এন্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউট থাকায় অনেক রোগী প্রাণে বেঁচে আছেন, কিন্তু এটা না থাকলে আরও কঠিন অবস্থার মুখোমুখি হতে হতো।