মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা আইনের মাধ্যমে নির্ধারণ কেন করা হবে না, সরকারকে তা জানাতে বলেছে আদালত। একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার এই আদেশ দিয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন সচিব ও তালিকা প্রস্তুতকরণ কমিটিকে এই রুলের জবাব দিতে হবে। জামাল উদ্দিন শিকদারসহ ৬ মুক্তিযোদ্ধার করা এই রিট আবেদনে আদালতে শুনানি করেন রফিকুর রহমান। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী হাসনাত কাউয়ুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আল আমিন সরকার।
হাসনাত কাইয়ুম বলেন, “একেক সরকার একেক সময়ে বিধিমালা, গাইডলাইন দিয়ে একেকভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞায়িত করছে। অন্যরা এসে তা বাতিল করে দেয়। এ জন্য আইন দ্বারা সংজ্ঞা নির্ধারণ প্রয়োজন। “সেটা না করে গত ১৫ জানুয়ারি এ বিষয়ে একটি গাইডলাইন দেয়। সেখানেও একটি সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এর ভিত্তিতে ২৮ মার্চ থেকে যাচাই-বাছাইও শুরু হয়ে যাবে। আমরা এই প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করেছি।”
আদালত চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব চেয়েছে বলে জানান হাসনাত কাইয়ুম। তবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার বলেন, সময়টি ৬ সপ্তাহ।বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৩ বছরেও মুক্তিযোদ্ধার তালিকা নিয়ে বিতর্ক চলছে। অমুক্তিযোদ্ধাদেরও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকায় স্থান দেওয়ার ঘটনাও ধরা পড়েছে।
সম্প্রতি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞা ঠিক করে তার আলোকে আগের সব তালিকা যাচাই-বাছাই করে নতুন তালিকা তৈরির উদ্যোগ নেয়। তবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
নতুন সংজ্ঞায় বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, একাত্তর সালে ১৫ বছরের নিচে যাদের বয়স ছিল, তারা মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় আসবেন না।
নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করে নতুন তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়ে গত ২ মার্চ দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন যুক্ত করে ছয় মুক্তিযোদ্ধা রিট আবেদন করেন