বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ত্রাণ বিতরণের দায়িত্ব সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ন্যস্ত করার প্রস্তাব করেছেন । তিনি বলেছেন, ত্রাণ যাতে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে সেজন্য একটি তালিকা সম্প্রসারণ করতে হবে। সরকারের কাছে যে ভিজিডি-টিআর-বৃদ্ধ-মুক্তিযোদ্ধাদের লিস্ট আছে সেখান থেকে যারা খেটে খাওয়া মানুষ, যারা নিম্নমধ্যবিত্ত এবং যারা গরিব তাদেরকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব।
আজ ১৪ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে তিনি আহ্বান জানান। খ. মোশাররফ বলেন, যদি সরকার সেনাবাহিনীসহ সশ্বস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীকে এই দায়িত্ব পুরোপুরি দেন যেন তারা চিরুনি অভিযান করে সারা বাংলাদেশে এই তালিকাটা তৈরি করবে। এরপরের থেকে যত রকমের সাহায্য, যত রকমের ত্রাণ, ভিজিএফ-ভিজিডি, ত্রাণ এবং বয়স্কভাতা সব কিছু সেনাবাহিনীসহ সশ্বস্ত্র বাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে এবং পুলিশ বাহিনীর মাধ্যমে সরাসরি যদি বিতরণ করা হয় তাহলেই আজকে মানুষকে আমরা এই অবস্থা থেকে বাঁচাতে পারবো।
বিএনপির এই নেতা বলেন, যেভাবে বর্তমান সরকার যে মাধ্যমে ত্রাণ সামগ্রি বিতরণ করছে এটা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে সেখানে চাল চুরির হিড়িক লেগেছে। কারা করছেন? চেয়ারম্যান-মেম্বার-উপজেলা চেয়ারম্যানরা। তারা কারা? তারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। তারা গত ১২ বছর যাবত এসব কর্মকাণ্ডের সাথে অভ্যস্ত। তাদের দিয়ে এই কাজ করা সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, সরকার এটা উপলব্ধি করতে পেরে গতকাল তারা ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) ছিলো, সেই ওএমএস তারা বন্ধ করে দিয়েছে। এটা বন্ধ করে দিলে হবে। এই মার্কেট থেকে যারা ক্রয় করে তারা হচ্ছে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্য বিত্ত।
মোশাররফ বলেন, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, কারো কারো অবহেলার কারণে আমরা দেখছি যে, চিকিতসকদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের কুতসা রটানো হয়, নানা রকমের মন্তব্য করা হয়। এমনকি ইতিমধ্যে ৬ জনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এটা চিকিতসক-নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীর মনোবল ভেঙে দেবে। আমি আশা করি যে, তাদের প্রতি ভালো আচরণ করে তাদেরকে উতসাহিত করে দেশপ্রেমে উদ্ধুব্ধ করে জনস্বার্থে তাদেরকে মাঠে রাখা প্রয়োজন। এজন্য যা করা প্রয়োজন তা আমাদের করতে হবে।