দুর্নীতির মামলায় সাজা হওয়ায় সংসদ সদস্য (এমপি) পদ হারাচ্ছেন হাজী মোহাম্মদ সেলিম। সংবিধান অনুযায়ী তার সংসদ সদস্য পদ থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ হাজী সেলিমের ১০ বছরের সাজা বহাল রাখার নির্দেশ দিয়ে রায় ঘোষণার পর তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তিনি জানিয়েছেন, সাজা বহালের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর সেটি দুদকের পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। এরপর স্পিকার হাজী মোহাম্মদ সেলিমের সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এর আগে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আওয়ামী লীগ দলীয় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) হাজি মোহাম্মদ সেলিমকে বিচারিক আদালতে দেওয়া সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট।
২৪ ফেব্রুয়ারি হাজী সেলিমের আপিলের ওপর শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৯ মার্চ দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট। সেদিন আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
হাজী সেলিমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস।
বহুল আলোচিত এ রায় ঘোষণার জন্য হাজী সেলিমের আপিল মামলাটি আদালতের কার্যতালিকার ১ নম্বরে রাখা হয়েছিল।
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল এক রায়ে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন নিম্ন আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম।
২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে হাজী সেলিমের সাজা বাতিল করে খালাস দেন তাঁকে।
কিন্তু ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করে দুদক। আপিল বিভাগ ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি এক আদেশে হাইকোর্টের রায় বাতিল করেন এবং পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন।