বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্যোগ মোকাবিলায় অতীতের মতো ফের বিচক্ষণতার সাথে সাফল্যের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন।
আজ ২২ মে শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উদ্যোগে অসহায় গরিব মানুষের মধ্যে ঈদের উপহারসামগ্রী বিতরণের আগে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা দুটো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছি। করোনা সংক্রমণ রোধ ও চিকিৎসা এবং সুপার সাইক্লোন আম্পনের ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা ও পুনর্বাসন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সাইক্লোন পরবর্তী পুনর্বাসন তৎপরতা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। তিনি দুর্যোগের অমানিশার আলো হাতে আঁধারের সাহসী কাণ্ডরী।’
কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও নিবিড় তত্ত্বাবধানে চলছে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পুনর্বাসন। সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ করে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রশাসনকে উপদ্রুত এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা, পুনর্বাসন ও চিকিৎসা সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজ করছেন। পাশাপাশি পুলিশ ও অন্যান্য সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো একযোগে কাজ করে চলছে।’
তিনি বলেন, ‘যে কোনও দুর্যোগে বাংলাদেশ থেমে থাকেনি। প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে মর্যাদার সঙ্গে মাথা তুলে দাঁড়ানো একদেশ বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা করোনা সংকট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করবো।’
করোনা সংকটে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ত্রাণ তৎপরতায় বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মাটি ও মানুষের এ দল অতীতেও মানুষের সঙ্গে ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এবার এক ভিন্ন বাস্তবতায় ঈদ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ঈদ উদযাপনের চেয়ে বেঁচে থাকার লড়াই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বেঁচে থাকলে ভবিষ্যতে আমরা সবাই ঈদ উদযাপনের অনেক সুযোগ পাব।