শতাব্দীর ভয়াবহ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে আজ ২৫ মার্চ বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষিত মহামারী করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণ প্রতিরোধের পদক্ষেপ হিসেবে এবারের স্বাধীনতা দিবসের সকল অনুষ্ঠানের কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। সকলকে স্বাধীনতা দিবস পালনে লোকসমাগম হয় এমন কর্মসূচি গ্রহণ হতে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস বিশ্ব অর্থনীতিতে মারাত্মক থাবা মারতে পারে বলে বিশেষজ্ঞ গণ মত দিচ্ছেন। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। এমন পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন মাত্র ১৪ দিন নিজেকে সঙ্গরোধ করুন। যে যার ধর্ম মতে ইবাদাত, প্রার্থনা করার পরামর্শ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসায় ঢাকায় ৬ টি হাসপাতাল প্রস্তুত ও আরো ৩ টি প্রস্তুত করা হচ্ছে, জেলা উপজেলা হাসপাতাল গুলোকে এ বিষয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য কর্মীদের ভূমিকাই বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য কর্মীদের ব্যাক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী মজুদ আছে ও সরবরাহ করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী করোনা ভাইরাস নিয়ে গুজব ছাড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন গুজব রটনাকারীদের কোন ছাড় নয়। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহণ কারা হবে।
বিশ্ববাসীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই মহামরী প্রতিরোধ হবে। যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্য মজুদ থাকার কথা জানিয়ে সকলকে প্রয়োজনের বেশী সামগ্রী সংগ্রহ ও দাম বৃদ্ধি না করার জন্য বলেন। এক্ষেত্রে বাজার মনিটরিং এর ব্যাবস্থা রয়েছে বলে জানান।
তিনি বলেন এ সময়ে অনেকের আয়রুজি বন্ধ হয়ে গেছে সে বিষয়ে সরকার বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ভাষানচরে এক লক্ষ মানুষের থাকার ব্যাবস্থা রয়েছে। কেউ চাইলে সেখানে থাকার ব্যাবস্থা নিবে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দূর্যোগের সময় মনুষত্তের পরিচয় পাওয়া যায়। এসময় কেউ কোন সংকট তৈরী করবেন না,প্রয়োজনের অতিরিক্ত সামগ্রী মজুদ করবেন না,ব্যাবসয়ীরা পণ্যের মজুদ বাড়াবেন না, কেউ কোন জমি অনাবাদি রাখবেন না, সকলে যে যার ঘরে থাকবেন,সঙ্গরোধ করে চলুন, সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে তিনি ভাষণ শেষ করেন।