সাম্প্রতিক শিরোনাম

দেশকে ভূমিকম্প সহনীয় করতে জাপানের সহায়তায় ৩ ধাপে ৫০ বছরের পরিকল্পনা: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

দেশকে ভূমিকম্প সহনীয় করতে জাপানের সহায়তায় ৩ ধাপে ৫০ বছরের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ সংলাপের আয়োজন করে।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সম্ভাব্য ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে। কিন্তু ভূমিকম্প নিয়ে আমরা খুব বেশি কাজ করতে পারিনি। তবে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা, ভূমিকম্প পরবর্তীতে উদ্ধার কাজ- এগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা-সেমিনার করেছি। ভূমিকম্প সহনীয় রাষ্ট্র গঠন করতে আমরা এতো দিন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারিনি।

জাপান একটি ভূমিকম্প প্রবণ রাষ্ট্র ছিল জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেখানে কোনো ভবন ধসের সংবাদ এখন আর পাওয়া যায় না। সেখানে প্রতিটি ভবন ভূমিকম্প সহনীয় করে গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে ১০ রিখটার স্কেলের ভূমিকম্পে ৭০ তলার ভবন টিকে আছে। তাদের ভবনগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে ভূমিকম্পে নষ্ট হবে না।

জাপানের সাথে কয়েক দফা আলোচনার পর বাংলাদেশকে ভূমিকম্প সহনীয় করতে তারা তিন ধাপে ৫০ বছরের পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছে বলে জানান ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল স্থাপনা ভূমিকম্প সহনীয় করতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দেবে জাপান।

আমরা সে কাজটি শুরু করেছি। এ কাজটি শুরু করে দিতে পারলে আমাদের ভবিষ্যতৎ প্রজন্ম ভূমিকম্প সহনীয় নিরাপদ রাষ্ট্র পাবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রথম ধাপে পুরান ঢাকার মতো দেশের যেসব জায়গায় অবকাঠামো আছে, সেগুলোকে ডিমোলিশ করা হবে এবং সেখানে নতুন ডিজাইন করে ভূমিকম্প সহনীয় ভবন নির্মাণ করে উপকারভোগীদের মাঝে বরাদ্দ দেয়া হবে।

এটার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দেবে জাপান। দ্বিতীয় ধাপে হাইরাইজ ভবনগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে, এগুলো ভূমিকম্প সহনীয় না হলে রেট্রোফিটিংয়ের মাধ্যমে এগুলো স্ট্রেনদেনিং করা হবে। যেটা জাপান করেছে।

তৃতীয় ধাপে জাপান সরকার ইঞ্জিনিয়ার এবং আর্কিটেকদের প্রশিক্ষণ দেবেন, যাতে ১০ রিখটার স্কেলকে ল্যান্ডমার্ক ধরে নতুন যে ভবন হবে সেগুলো যাতে ডিজাইন করা হবে। ডা. এনামুর রহমান বলেন, তিন ধাপের এই কাজের জন্য ফোকাল পয়েন্ট নির্বাচিত করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে জাইকার সব সদস্য দেশে চলে গেছে।

তারা আসলে প্রথমে সমীক্ষা এবং পরে কাজ শুরু হবে। তিনি বলেন, পুরান ঢাকার যে ভবনগুলোর প্রতœতাত্ত্বিক মূল্য আছে সেগুলো যদি রেট্রোফিটিং (পূর্বে নির্মিত বিল্ডিং বা স্ট্রাকচারে নুতন কিছু যোগ করে শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া) করে ভূমিকম্প সহনীয় করা যায় তাহলে ব্যবস্থা নেবেন তারা।

আর কোনোভাবে যদি রেট্রোফিটিং করা না যায় এবং জীবনের ঝুঁকি থাকে তাহলে তারা আমাদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।কবে নাগাদ এই কাজ শুরু হবে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমীক্ষার পর তাদের সাথে আর্থিক ও কারিগরি বিষয়ে চুক্তি হবে এবং তারপর কাজ শুরু হবে।

ভূমিকম্পের আগাম সতর্কবার্তা দেয়ার বিষয়টি পৃথিবীতে উন্নতি লাভ করেনি জানিয়ে তিনি বলেন, চীন ২০ সেকেন্ড আগে পূর্বাভাস দিলেও এটা খুব বেশি কার্যকর নয়। এটা নিয়ে সারা বিশ্বে কাজ চলছে। ভূমিকম্পসহ অন্যান্য দুর্যোগে উদ্ধারকাজের জন্য দুই হাজার কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

দেশে প্রতিবছর বজ্রপাতে ২০০ থেকে ২৫০ জন মানুষ মারা যায়, যার অধিকাংশই হাওর অঞ্চলে। আমরা বজ্রপাতের পূর্বাভাস কেন্দ্র স্থাপনের পদক্ষেপ নিয়েছি। এটার কাজ চলছে এবং যন্ত্রপাতি আসলে ৪০ মিনিট আগে সংকেত দেয়া হবে।

সংকেত দেয়ার পর তারা যেন নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে সেজন্য হাওরসহ বজ্রপাতপ্রবণ এলাকাগুলোতে এক তলাবিশিষ্ট আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করবো। এছাড়া লাইটেনিং অ্যারেস্টার বসানোর পরিকল্পনা করেছি। কেন্দ্রীয়ভাবে দুর্যোগ মনিটরিং করার জন্য ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সেন্টার করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে এনামুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী তেজগাঁওয়ে তিন একর জায়গা বরাদ্দ দিয়েছেন।

সেখানে চীনের সহায়তায় ভবন তৈরি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বন্যার সময় আশ্রয় দেয়ার জন্য ৪২৩টি আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ প্রায় শেষ হয়েছে। এছাড়া ২২০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র করাও শেষ হয়েছে। ৫৫০টি মুজিব কেল্লা তৈরির কাজ চলমান রয়েছে।

এগুলো প্রতিবন্ধীবান্ধব এবং সোলার সিস্টেমসহ সার্বিক সুবিধা আছে। দুর্যোগকালে ঢাকা থেকে ত্রাণসামগ্রী বহন করে নিয়ে যেতে ৬৪ জেলায় ৬৬টি ত্রাণ গুদাম নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এ বছরের শেষের দিকে এগুলো আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এতে খুব সহজে ত্রাণসামগ্রী উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারব।

নতুন করে ৫০০টি উপজেলায় ত্রাণ গুদাম, এক হাজার বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র, এক হাজার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র এবং এক হাজার মুজিব কেল্লার জন্য পিপিপি প্রণয়ন করা হয়েছে বলেও জানান ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।

বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদের সঞ্চালনায় সংলাপে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ

প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের অভিনন্দন

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক পত্রে পুতিন বলেন ‘রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বের...

আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব উদযাপন করলো রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন

রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, আল খারজ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ও আল কাসিম বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন...

পর্যবেক্ষণে গিয়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও সুইস পর্যবেক্ষকরা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের ও সুইস পর্যবেক্ষক দল।দুপুর একটার দিকে উপজেলার কয়েকটি ভোট...

ভিডিও কনফারেন্সে মিটিং করে ট্রেনে আগুন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি নেতারা

নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার উদ্দেশ্যই ট্রেনে আগুন দেয়া হয় বলে জানায় ডিবি। বিএনপি...