বাংলাদেশের গভীরতম সমুদ্রবন্দর হতে যাচ্ছে মাতারবাড়ি বন্দর। জাপানের আর্থিক এবং কারিগরি সহাহতায় গড়ে উঠবে এই বন্দর। শুরুতে এখানে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের হাব হিসাবে গড়ে তুলতে ছোট আকারে কয়লা বাহী জাহাজ ভেড়ানোর জন্য বার্থিং সুবিধা রেখে টার্মিনাল করার কথা ছিল।
পরে সল্প দুরত্বে সোনাদিয়ায় আরেকটি সমুদ্রবন্দর না করে মাতারবাড়িকেই পূর্নাঙ্গ বন্দরে রুপ দেয়ার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে দ্রুত এগিয়ে চলছে বন্দর নির্মাণের কাজ। বন্দর ঘিরে গড়ে তোলা হচ্ছে বিশাল ইকোনমিক জোন।
সম্প্রতি মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ অংশের ডিজাইন, টেন্ডার অ্যাসিসটেন্স এবং কনস্ট্রাকশন সুপারভিশনে জাপানি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ নিপ্পন সিনো কোম্পানি লিমিটেডকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এসব ক্ষেত্রে পরামর্শ প্রদানের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে দিতে হবে ২৩৪ কোটি তিন লাখ টাকা। জাইকার অর্থায়নে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে।
মাতারবাড়িতে ইতোমধ্যে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে রেল এবং সড়ক পথে চট্টগ্রাম কক্সবাজার রেলের যুক্ত হবে এই বন্দর।