দেশের ৬৬০টি থানায় একযোগে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন করবে বাংলাদেশ পুলিশ। সেখানে স্মরণ করা হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আলোচনা হবে, প্রীতিভোজ এবং মিষ্টি বিতরণও হবে।
সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
আইজিপি বলেন, গত মাসের ২৬ তারিখে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্তি ও ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের দিনটিতে দেশব্যাপী আনন্দ উদযাপন করবে পুলিশ। দিনটি দেশের ৬৬০টি থানায় বিকেল ৩টায় একযোগে উদযাপন করা হবে।
দেশের সব থানার বাইরে আলোচনা সভা ও প্রীতিভোজের আয়োজন করা হবে, মিষ্টি বিতরণ করা হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাই এসব অনুষ্ঠানে যোগ দেবে। অনুষ্ঠানে পুলিশ সদস্য ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রশাসনসহ নেতৃবৃন্দ থাকবে।
তিনি আরো বলেন, আমি সবাইকে হাত ধুয়ে, মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ করছি।
২০০৮ সালের পর থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নে আমূল পরিবর্তন এসেছে। দারিদ্র্য অনেক কমেছে, এখন মিউজিয়ামে যাওয়ার উপক্রম। আগে সবাই বলতো ইলেকট্রিসিটি কবে আসবে, এখন বলে কবে যাবে। দেশের এসব উন্নয়নকেই উদযাপন করবে পুলিশ।
২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ (বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য) হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। বাংলাদেশ পুলিশ প্রথমবারের মতো এই দিনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপন করবে।