সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকেই সরকার কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে।
প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্ব ও নিরলস পর্যবেক্ষণের কারণে সরকার শুরু থেকেই করোনাভাইরাস সৃষ্ট পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
শুক্রবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের সংসদ ভবন এলাকাস্থ তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
কাদের বলেন, এ ভাইরাসের অতীত ইতিহাস না থাকায় চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ একটি নতুন অভিজ্ঞতা হিসেবে দেখা দিয়েছিল।
কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে অল্প সময়ে জনসচেতনতা তৈরির পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা প্রদানে আমাদের এখন সক্ষমতা তৈরি হয়েছে, যা দিন দিন বাড়ছে।
জনগণের চাহিদা অনুযায়ী সুযোগ সম্প্রসারণের পাশাপাশি পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতে ও চিকিৎসা সেবার সুযোগ দিন দিন বাড়ছে।
দেশে এখন আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা হচ্ছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে আমাদের বিদেশমুখীতা কমিয়ে আনতে হবে। বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোকে সেন্টার অব এক্সিলেন্সে রূপান্তরিত করতে হবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা চিকিৎসকদের গ্রামমুখী হওয়ার যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা যথাযথভাবে পালন করলে গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবার মান আরো উন্নীত হবে। শুধু রাজধানী কেন্দ্রিক নয়, চিকিৎসা ব্যবস্থাকে তৃণমূলে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই কাজ করছে সরকার।
এ খাতে ব্যবস্থাপনা দক্ষতা বাড়াতে এবং অনিয়ম দূর করতে সম্প্রতি বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এ সকল কার্যক্রম এগিয়ে নিতে চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। চিকিৎসা ব্যবস্থা একটি টিম ওয়ার্ক। চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসা সরঞ্জামসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে গড়ে তুলতে হবে শক্তিশালী টিম ওয়ার্ক।
করোনার পরীক্ষা বাড়ানো ও দ্রুত রিপোর্ট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, করনো টেস্ট আরো বাড়াতে হবে। রিপোর্ট দেওয়ার বিষয়টি যাতে বিলম্ব না না ঘটে, টেস্টের পর পরই যাতে রিপোর্ট পাওয়া যায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা প্রবাসে চাকরি করেন, তারা যেন কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে টেস্ট করাতে গিয়ে সময়মত রিপোর্টের অভাবে বিদেশ যেতে ব্যর্থ না হন বা তাদের ফেরত আসতে না হয়, এটা দেখবেন।
কার্যালয়ে দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খোরশেদ আলমের নিকট আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়।