বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ঈদে লক্ষ লক্ষ মানুষের বাড়ি ফেরার প্রেক্ষাপটে সারাদেশ আবারও সংক্রমণ বৃদ্ধির ঝুঁকিতে পড়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন।কর্তৃপক্ষের বক্তব্য হচ্ছে, ঈদকে কেন্দ্র করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় মানুষের যাতায়াত ঠেকাতে তারা নিরুপায়।ফলে এখন সংক্রমণ বাড়ার ঝুঁকি মাথায় রেখে ঈদের পর পরই নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন বলে বিবিসি বাংলা সূত্রে প্রকাশ।
আজ ১ আগস্ট শনিবার দুপুর আড়াইটায় দেশে রাজধানী ঢাকার মহাখালিস্থ স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিনের মতো অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে দেশের সর্বশেষ তথ্য জানান অধিদপ্তরটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ নাসিমা সুলতানা।
ডাঃ নাসিমা সুলতানা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে ৮২ টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮ হাজার ৬৬৯ টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৮ হাজার ৮০২ টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১১ লাখ ৮৫ হাজার ৬১১ টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও ২ হাজার ১৯৯ জনের মধ্যে। ফলে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ৩৯ হাজার ৮৬০ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ২১ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো তিন হাজার ১৩২ জনের পাশাপাশি গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ১ হাজার ১১৭জন মোট ১ লাখ ৩৬ হাজার ২৫৩ জন।
বুলেটিনে ডা. নাসিমা আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২১ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৬ দশমিক ৮১ শতাংশ, মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩১ শতাংশ। আজ মৃতদের লিঙ্গ বিভাজনে পুরুষ ১৬ নারী ৫ জন।
এদিকে ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী আজ শনিবার দুপুর ২ ঘটিকা পর্যন্ত, বৈশ্বিক মহামারী করোনায় বিশ্বে মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ৩৮৯ জনের। আর আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৭৭ লাখ ৭৮ হাজার ২৭৬ জন। তবে সুস্থ হয়েছে ১ কোটি ১১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৫ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৫৯ লাখ ১৭ হাজার ৮০২ জন আর আশংকা জনক অবস্থায় আছেন ৬৫ হাজার ৬০৫জন।
প্রসঙ্গত,গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।