করোনা আক্রান্তদের কি ধরনের উপসর্গ দেখা যাবে তা কিছুটা নির্ভর করে ভাইরাল লোডের উপর। অর্থাৎ যার শরীরে ভাইরাল লোড কম, তিনি সাধারণত অ্যাসিম্পটোম্যাটিক থাকবেন, অর্থাৎ উল্লেখযোগ্য কোনও উপসর্গ দেখা যাবে না। মাঝারি মানের ভাইরাল লোড হলে অল্প জ্বর, গা ম্যাজ ম্যাজ করা, সামান্য গলাব্যথার মতো সমস্যা হতে পারে, আর ভাইরাল লোড বেশি হলে শরীর বেশি খারাপ হবে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কোভিড টেস্ট করানো উচিত বলে বিশেষজ্ঞগণের পরামর্শ।
আজ ২৫ জুলাই শনিবার দুপুর আড়াইটায় দেশে রাজধানী ঢাকার মহাখালিস্থ স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিনের মতো অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে দেশের সর্বশেষ তথ্য জানান অধিদপ্তরটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ নাসিমা সুলতানা।
ডাঃ নাসিমা সুলতানা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে ৮০ টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯ হাজার ৬১৫ টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১০ হাজার ৪৪৬ টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১১ লাখ ১ হাজার ৪৮০ টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও ২ হাজার ৫২০ জনের মধ্যে। ফলে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ২১ হাজার ১৭৮ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩৮ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো দুই হাজার ২ হাজার ৮৭৪ জনের পাশাপাশি গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ১১১৪ জন মোট ১ লাখ ২২ হাজার ৯০ জন।
বুলেটিনে ডা. নাসিমা আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২৪.১২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৫.৩০ শতাংশ, মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩০ শতাংশ। আজ মৃতদের লিঙ্গ বিভাজনে পুরুষ ২৯ নারী ৯ জন।
এদিকে ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী আজ শনিবার দুপুর ২ ঘটিকা পর্যন্ত, বৈশ্বিক মহামারী করোনায় বিশ্বে মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৪০ জনের। আর আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৫৫ হাজার ৯২৫ জন। তবে সুস্থ হয়েছে ৯৭ লাখ ৫৪ হাজার ২৫৩ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৫৫ লাখ ৫৮ হাজার ৬৩২ জন আর আশংকা জনক অবস্থায় আছেন ৬৬ হাজার ২৬৩ জন।
প্রসঙ্গত,গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।