একুশ শতকের ভয়াবহ বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা আজও হাজার ছড়িয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ১১১৩৮ টি নমুনা সংগ্রহ করে ১০২০৭ টি পরীক্ষা করে নতুন আক্রান্ত ১৬১৭ জন। আরো ১৬ জনসহ এপর্যন্ত করোনার ছোবলে প্রাণ গেলো ৩৭০ জনের বলে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা.নাসিমা সুলতানা আজ ২০ মে বুধবার অপরাহ্নে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আরো ১২৫১ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এই নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ২৬ হাজার ৭৩৮। মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৭০ জন। আজ সুস্থ হয়েছেন আরো ২১৪ জন এপর্যন্ত ৫২০৭ জন।
এদিকে আজ বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল পর্যন্ত বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনার শিকার হয়েছেন ৪৯ লাখ ৮২ হাজার ৯৩৭ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৯৪ হাজার ৮১৩ জন। প্রাণ হারিয়েছেন নতুন করে ৪ হাজার ৫৮৯ জন। এ নিয়ে করোনায় বিশ্বের ৩ লাখ ২৪ হাজার ৫৫৪ জনের মৃত্যু হল। আর সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৯ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি মানুষ।
করোনা মরণ আঘাত হেনেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৫ লাখ ৭০ হাজার ৫৮৩ জন মানুষের দেহে থাবা বসিয়েছে করোনা। এর মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় শিকার হয়েছেন ২০ হাজার ২৮৯ জন আমেরিকান। নতুন করে প্রাণ গেছে আরও ১ হাজার ৫৫২ জনের। ফলে, এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের দেশে করোনায় ৯৩ হাজার ৫৩৩ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত রাশিয়ায় করোনার শিকার প্রায় ৩ লাখ। সে তুলনায় প্রাণহানি অনেকটা কম পুতিনের দেশে। এখন পর্যন্ত সেখানে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৮৩৭ জনের।
নিয়ন্ত্রণে আসা স্পেনে আক্রান্ত ২ লাখ সাড়ে ৭৮ হাজার ৮০৩ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন দেশটির ২৭ হাজার ৭৭৮ জনের।
প্রাণহানিতে তিনে থাকা দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে গত একদিনে নতুন করে সাড়ে ১০ হাজারের বেশি মানুষ করোনার শিকার হয়েছেন। এতে আক্রান্ত বেড়ে ২ লাখ ৭১ হাজার ৮৮৫ জনে পৌঁছেছে। প্রাণ গেছে আরও ৯৮৭ জনের। এ নিয়ে সেখানে ভাইরাসটির আঘাতে মৃতের প্রায় ১৮ হাজার।
যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৮১৮ জনে। প্রাণহানি ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে। যা করোনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু।
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া ও আংশিক লকডাউনে থাকা ইতালিতে প্রাণহানি ৩২ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত ২ লাখ সাড়ে ২৬ হাজারের বেশি মানুষ।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ভারতে। দেশটির সংক্রমিতের ১ লাখ সাড়ে ৬ হাজারে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৩০২ জনের।
প্রসঙ্গত, গত ৮ই মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। শুরুর দিকে রোগীর সংখ্যা কম থাকলেও এখন সংক্রমণ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে চীনের উহানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। ভাইরাসটি ক্রমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।