প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাকস্বাধীনতার নামে সোশ্যাল মিডিয়া এবং গণমাধ্যমে অপপ্রচারের কঠোর সমালোচনা করে এর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদের আহ্বান জানিয়েছেন।
দেশে কিছু আঁতেল শ্রেণির লোক আছে, যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে কিছু হলেই বলে ওঠে, বাকস্বাধীনতা নাকি খর্ব হচ্ছে।
সংঘাত সৃষ্টি করাও কি বাকস্বাধীনতা? সেটাই আমার কথা। তাই কেউ যদি অপপ্রচার করে তাহলে সাথে সাথে এর প্রতিবাদটা আমাদের করতে হবে।
আমরা চুপ করে বসে থাকলেও হবে না ডিফেন্সিভে গেলেও হবে না। যেটা সত্য সেটা বললে হয়তো সাময়িকভাবে কষ্ট হবে সেটা বিশ্বাস করাতে, কিন্তু এটা সফল হবেই, এটা হলো বাস্তবতা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকের প্রারম্ভিক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী সোমবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এবং মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা সচিবালয়ের মন্ত্রিসভাকক্ষ থেকে ভার্চুয়াল এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বৈঠকের বিষয়ে অবহিত করেন।
আমাদেরর একটা দুর্বলতা রয়েছে, এটা নিয়ে (সংঘটিত আসল ঘটনা) কাউকে প্রশ্ন করলে কারণটা আর বলে না, তারা ডিফেন্সিভে চলে যায়।
এই মানসিকতাটাও ভালো নয়। যেটা সত্য সেটা বলতেই হবে, বলতে হবে- ওই লোকটা এভাবে সংঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, কোটার (বিসিএস) বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের ব্যাগে যদি বড় বড় পাথর বা রামদা, কিরিচ-এগুলো থাকে! সেখানে তো বই-খাতা পাওয়া যায়নি। সেটা নিয়ে কোনো কথা নেই। তখন তো অনেক নিউজও বের হয়েছে এবং অনেক ছবিও বের হয়েছে (মিডিয়া-পত্রিকায়)।
সে সময় আওয়ামী লীগ অফিসে আক্রমণ এবং পাথর ছুড়ে মেরে অফিস ভাঙচুর এবং ৪০-৫০ জন নেতাকর্মীকে আহত করা, যাদের দেশে-বিদেশে চিকিৎসা করাতে হয়েছে এবং কারো কারো চিকিৎসা এখনো চলছে, বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, এটা নিয়ে কোনো মাথাব্যথা কারো ছিল না। রাস্তায় নিজেরা আগুন জ্বালিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগে যখন পুলিশ সেই ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে গেল সেটাই সব থেকে বড় হয়ে গেল।
অথচ পিলখানায় বিজিবি গেটের সামনে গণ্ডগোল করা হচ্ছিল, অনেকে বিজিবি গেট দিয়েও ঢুকে গিয়েছিল, কাজেই সেখানে বিজিবি যদি গুলি চালাত তাহলে কী অবস্থা হতো।
শেখ হাসিনা সে সময়কার অপর একটি উদাহারণ টেনে বলেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য একজন টিভি অভিনেত্রীর মিথ্যা স্টেটমেন্ট (পরে আটক ও কারাভোগকারী) আওয়ামী লীগ অফিসে নিয়ে তাঁকে অসম্মান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তার প্রচারিত ভিডিওতে রাস্তার সাইনবোর্ড দেখে ধরা পড়ছে যে, সে নিজেই রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে ভিডিও করে সমানে অপপ্রচার চালাচ্ছে।