তিন থেকে চারটি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভ্যাকসিন উৎপাদনে প্রস্তুত রয়েছে। বিষয়টি সাম্প্রতিককে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির মহাসচিব শফিউজ্জামান।
এই মুহূর্তে দেশে তিন-চারটি কম্পানি করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদনে প্রস্তুত। এর মধ্যে দুটি কম্পানি নিজেদের ল্যাবে করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারেও প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
ভ্যাকসিন ইস্যুতে নড়েচড়ে বসেছে সরকার। দেশের বড় কয়েকটি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস ছাড়াও আরো একটি কম্পানি ভেতরে ভেতরে ট্রায়ালের কাজ অনেকটা এগিয়ে নিয়েছে। এখন তারা সরকারের অনুমতি নিয়ে ট্রায়ালের বাকি পর্ব এবং ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরুর কারিগরি প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিশ্বের ২০০টিরও বেশি কম্পানি করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারে কাজ করছে। এর মধ্যে ১৪১টি কম্পানি প্রাথমিক পর্যায়ে কাজ করছে, ২৫টি কম্পানি ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষারত পর্যায়ে রয়েছে। এসব কম্পানির ভ্যাকসিনের গুণাগুণ বিচার-বিশ্লেষণ করে বাজারজাতের প্রথম পর্যায়ে এবং সবার আগে যেন বাংলাদেশ পায় সেটি নিশ্চিত করাই হচ্ছে সরকারের মূল লক্ষ্য।
এক দিন পর রাশিয়ার ভ্যাকসিন আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে, যা নিয়ে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও রয়েছে ব্যাপক আগ্রহ। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই টিকার কার্যকারিতা নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুসারে অনুমোদন নিয়ে একাধারে ট্রায়াল ও ভ্যাকসিন উৎপাদনে কোনো বাধা নেই, যা বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে শুরু করেছে। আমাদের দেশেও হতে যাচ্ছে। এই প্রক্রিয়া দেশের ওষুধশিল্পের জন্য নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করবে।