দেশে ন্যায়, সমতা ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উদযাপন উপলক্ষে সন্ধ্যায় রাজধানীতে তথ্য কমিশন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগণের বিপুল ভোটে বিজয়ের মাধ্যমে দ্বিতীয়বার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে এসে শেখ হাসিনার সরকার প্রথমেই তথ্য অধিকার আইন ও মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়ন করে।
কারণ জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিশ্বাস করে, শুধু বস্তুগত বা ভৌত উন্নয়নই সামগ্রিক উন্নয়ন নয়, প্রয়োজন ন্যায়ভিত্তিক, সমতাভিত্তিক ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণ।
আগারগাঁওয়ে প্রত্নতত্ত্ব ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিশ্বব্যাপী করোনা মাহামারি বিবেচনায় নির্ধারিত এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘তথ্য অধিকার সংকটে হাতিয়ার’ ভিত্তিক এ সভায় প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান ও তথ্যসচিব কামরুন নাহার।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান অনলাইনে দেওয়া বক্তব্যে তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির অঙ্গীকারের মাধ্যমে দিবসটিকে সার্থক করে তোলার আহ্বান জানান।
তথ্যসচিব কামরুন নাহার বলেন, দেশের জনগণের অধিকার রক্ষায় প্রণীত তথ্য অধিকার আইন দেশের উন্নয়নে এক অনন্য মাইলফলক হিসেবে প্রমাণিত।
বক্তব্যে প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ বলেন, সংকটকালে ঠিক ও সময়োচিত তথ্যে নাগরিকের প্রবেশাধিকার সংকট উত্তরণের বড় হাতিয়ার।
এতে যেমন জনসচেতনতার বাড়ে, তেমনি কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দায়িত্বশীলতাও বৃদ্ধি পায়। ফলে তা রাষ্ট্র, সরকার ও জনগণের আস্থার সম্পর্ক অটুট রেখে সংকট উত্তরণকে ত্বরান্বিত করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরর অধ্যাপক আআমস আরেফিন সিদ্দিক মূখ্য আলোচকের বক্তব্য ও তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম এনডিসি মূল প্রবন্ধ ও তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক দিবসটির ওপর বক্তব্য দেন।
তথ্য অধিকার চর্চা পুরস্কারপ্রাপ্তগণের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন।
প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার, দি কার্টার সেন্টারের বাংলাদেশ চিফ অব পার্টি সুমনা সুলতানা মাহমুদ প্রমুখের উপস্থিতিতে তথ্য কমিশনের সচিব সুদত্ত চাকমা স্বাগত বক্তব্য ও এমআরডিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান মুকুর আলোচনায় অংশ নেন।
সভাশেষে তথ্যমন্ত্রী তথ্য অধিকার আইন চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় এ বছর ছয় ক্যাটাগরিতে ১৩টি পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে তুলে দেন।
জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিবছর আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি উদ্যাপন করা হয়। বিশ্বব্যাপী মহামারি কভিড-১৯ এর বর্তমান পরিস্থিতিতে তথ্য কমিশনের উদ্যোগে ঢাকাসহ দেশব্যাপী আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস, ২০২০ উদ্যাপনের লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
পূর্বে দিবসটি রাজধানী ছাড়া শুধু জেলা পর্যায়ে পালিত হতো, যা এ বছর উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত উদযাপিত হচ্ছে।