দেশে এ পর্যন্ত ৯০ জন চিকিৎসক ও ৫৪ জন নার্স করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছেন। আক্রান্ত চিকিৎসকদের মধ্যে নিবিড় পরিচর্চা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন একজন। আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে; ডা. মো. মঈন উদ্দিন। এছাড়া তিনজন সুস্থ হয়ে ছুটি পেয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৫৩ জন। বাকিরা বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন। অন্যদিকে আক্রান্ত নার্সদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালের ২৮ জন এবং বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের রয়েছে ২৬ জন।
গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশনের (বিডিএফ) প্রধান সমন্বয়ক ডা. নিরূপম দাশ জানান, চিকিৎসকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছের রাজধানী ঢাকায়; ৫০ জন। এরপরে নারায়ণগঞ্জে ১২ জন। ময়মনসিংহে আক্রান্ত হয়েছেন সাতজন। গাজীপুরের কালিগঞ্জে ছয়জন। বাকিরা দেশের অন্যান্য জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসে কোয়ারেন্টাইনে আছেন প্রায় ৩০০ জন স্বাস্থ্যকর্মী।
নিরূপম দাশ বলেন, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) যদি আমাদের এ কাজে সাহায্য করত, তাহলে এ সংখ্যা আরও বাড়ত। আমরা নিজেদের উদ্যোগে কাজটা করছি। তাই প্রকৃত তথ্য উঠে আসছে না।
এদিকে, সোসাইটি ফর নার্সেস সেফটি অ্যান্ড রাইটস সংগঠনের মহাসচিব সাব্বির মাহমুদ বলেছেন, দেশে ৫৪ জন নার্স করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে সরকারি হাসপাতালের ২৮ জন। বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ২৬ জন। এছাড়া হাসপাতাল ও ক্লিনিকের আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে এসেছিলেন এমন ২৫০ থেকে ৩০০ নার্স কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
সাব্বির মাহমুদ বলেন, ১৪টি সরকারি হাসপাতাল এবং ১২টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এ হিসাব করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে আক্রান্ত ২৮ জনের মধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তিনজন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঁচজন, শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একজন, বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে দুইজন, নারায়ণগঞ্জের ৩০০ শয্যা হাসপাতালে চারজন, নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে একজন, নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে একজন, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে তিনজন, জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে একজন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে একজন, গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে দুইজন, ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে একজন, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে একজন ও নরসিংদীর ১০০ শয্যা জেলা হাসপাতালের দুইজন।
এছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ২৪ জনের মধ্যে গাজীপুরের কেপিজে হাসপাতালে তিনজন, শাহবাগের বারডেম জেনারেল হাসপাতালে দুইজন, ঢাকার এভার কেয়ার (অ্যাপোলো) হাসপাতালে একজন, ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঁচজন, ধানমন্ডির পপুলার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুইজন, রাজধানীর আসগর আলী হাসপাতালে তিনজন, মগবাজারের ইনসাফ আল বাকারায় ছয়জন, মিরপুরের ডেল্টা হাসপাতালের একজন, ধানমন্ডির ইবনে সিনায় একজন ও তেজগাঁওয়ের ইমপালস হাসপাতালের দুইজন। সৌজন্যেঃ দৈনিক আজাদী।