স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ধর্ষণ একটি নিকৃষ্টতম অপরাধ। ধর্ষকদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের শপথ কক্ষে ‘কনসার্টেড রেসপন্স টু স্টপ চাইল্ড ম্যারেজ, প্রিভেন্ট জেন্ডার বেসড ভায়োলেন্স অ্যান্ড ইম্প্রোভ মেটার্নাল হেলথ ডিউরিং নেচারাল ডিসেস্টার অ্যান্ড কভিড-১৯ পেন্ডেমিক’ শীর্ষক পলিসি ডায়ালগে এসব কথা বলেন তিনি।
বাল্যবিবাহ ও জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ-বিষয়ক সাব কমিটির আহ্বায়ক বেগম মেহের আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি, সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল মতিন খসরু, সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, শিরিন আখতার, রুমানা আলী, মো. ফখরুল ইমাম, নাহিদ ইজাহার খান ও অপরাজিতা হক, সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব নুরুজ্জামান, এসপিসিপিডি-প্রকল্পের পরিচালক এম এ কামাল বিল্লাহ, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পো, ইউএনএফপিএ প্রতিনিধি ড. আশা টর্কেলসন প্রমূখ।
স্পিকার বলেন, সাম্প্রতিক ধর্ষণের ঘটনায় কঠোর আইন প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়নের পাশাপাশি দ্রুততম সময়ের মাধ্যে ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে বিদ্যমান আইনের প্রয়োগের পাশাপাশি নারী শিক্ষার প্রসারের জন্য গৃহীত পদক্ষেপসমূহ বাস্তবায়ন করতে হবে।
মেয়েদের শিক্ষার জন্য বৃত্তি ও উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। এই অর্থ মায়েদের মোবাইলে চলে যাচ্ছে, যা মেয়েদের শিক্ষার দিকে এগিয়ে নিতে উৎসাহ হিসেবে কাজ করছে। তাই অভিভাবকগণকে তাদের কন্যাসন্তানদের বোঝা মনে না করে, তাদের সম্পদ হিসেবে গণ্য করে অল্প বয়সে বিয়ে না দিয়ে শিক্ষার দিকে এগিয়ে নিতে উদ্যোগী করতে হবে।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, বৈশ্বিক মহামারি কভিড-১৯ চলাকালীন সময়ে বন্যাকবলিত এলাকা, হাওর-চরাঞ্চলে গর্ভবতী নারীদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।
এ ছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোন নারী নির্যাতনের শিকার হলে ন্যাশনাল রেসপন্স প্লান-এর অংশ হিসেবে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাগণ ফার্স্ট রেসপন্ডার-এর ভূমিকা পালন করে যাবতীয় আইনী সহায়তা পেতে তাদের সহযোগিতা করতে পারেন।
সম্প্রতি চালুকৃত ‘মাই কনস্টিটিউয়েন্সি’-অ্যাপে কভিড-১৯ চলাকালীন সময়ে পরিবর্তিত তথ্যসমূহ আপডেট করার মাধ্যমে-এর কার্যকরিতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্পিকার বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে ও নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে আরো সংবেদনশীল ও সম্মানজনক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে সচেতনতা প্রয়োজন।
করোনাকালে পরিকল্পিত ও সুনির্দ্দিষ্ট ব্যবস্থাপনা গ্রহণের মাধ্যমে মা-শিশু-নারীদের নির্যাতন থেকে সুরক্ষিত রাখতে ও তাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এ ধরণের পলিসি ডায়ালগ থেকে প্লাণ অব একশন নির্ধারণ করতে হবে। নারীদের জন্য অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নারীর ক্ষমতায়নে সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment