রাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রধান আইন কর্মকর্তা এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, ধর্ষণের শাস্তি বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করা হলে এ ধরনের অপরাধ কমে আসবে। সরকার কিন্তু আগামীকালই বিষয়টা কেবিনেট মিটিংয়ে তুলবে।
শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করে দেওয়া হচ্ছে। আমার মনে হয়, যারা এ ধরনের অপরাধ করে, শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার পরে তারা সাবধান হবে।
রবিবার সকালে তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এরপর আপিল বিভাগে ভার্চুয়াল আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে মামলার শুনানিতে অংশ নেন। নিয়োগ পাওয়ার পর তিনি আজ অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে প্রথম অফিস করেন।
তিনি বলেন, এ অপরাধ করতে তখন অনেকবার ভাববে। আমার মনে হয় সরকারের এই উদ্যোগটা যখন আইনে পরিণত হবে, তখন কিন্তু এটা অনেকখানি কমে যাবে।
আমিন উদ্দিন বলেন, আমি তো আজকে কেবল বসলাম। আমি উনাদের (ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের) সাথে বসব বিকালে। বসে আমি দেখব কোন কোন মামলা (নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা) পেন্ডিং আছে।
সেখান থেকে কিছু মামলা হয়ত রিভিশনের কারণে বন্ধ হয়ে আছে। সেগুলো খুজে বের করে সচল করার চেষ্টা করব। আর যেগুলো আপিলে আছে, সেগুলো শুনানি করে নিষ্পত্তির চেষ্টা করব।
সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মামলা জট কমানো। আমাদের দেশে অনেক মামলা রয়ে গেছে, অনেক মামলা জট হয়ে আছে। এই জট কমানো হচ্ছে বিচার বিভাগে আমার প্রধান চ্যালেঞ্জ। আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল কোর্ট প্রায় চার হাজার মামলার নিস্পাত্তি করে দিয়েছে। পুরনো মামলাগুলো সেখানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শোনা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে এবং আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে আমি মাননীয় প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করব, হাই কোর্টেও যেসব পুরনো মামলা রয়েছে, সেগুলো নিষ্পত্তি করার জন্য বেঞ্চগুলোকে যেন বিশেষ নির্দেশনা দেন। তাছাড়া আমি চেষ্টা করব, বিভিন্ন জেলায় যারা পাবলিক প্রসিকিউটর আছেন, তাদের সাথে যোগাযোগ করতে। বিচারাধীন যেসব মামলা স্থগিত হয়ে আছে, সেগুলোর দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নিতে।
গত ৮ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এএম আমিন উদ্দিনকে দেশের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার।
আমিন উদ্দিন তিন দশক ধরে সর্বোচ্চ আদালতে আইনজীবী হিসেবে কাজ করে আসছেন। এক সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্বও পালন করেছিলেন তিনি।