ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
এ সময় তিনি ঢাকা মহানগরীতে স্থায়ী চেকপোস্টের পাশাপাশি অস্থায়ী চেকপোস্ট বসানোর নির্দেশ দেন।
রবিবার রাজধানীর রাজারবাগে ডিএমপির মাসিক অপরাধ পর্যালোচনাসভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
এতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনারগণসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিজ্ঞানসম্মতভাবে তদন্ত করুন। অপেশাদার আচরণ করবেন না। নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
থানার প্রতিটি বিটে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সচেতনতামূলক সমাবেশ করা যেতে পারে। এসব সমাবেশে নারীদের কাছ থেকে তাদের সমস্যা সম্পর্কে জানতে হবে এবং করণীয় বিষয়ে তাদের সুপারিশ বিবেচনায় নিতে হবে।
এ সময় মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ফ্লাইওভারগুলোতে ওঠানামার জায়গায় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে। গাড়ি ও মোটরসাইকেল চুরি প্রতিরোধে প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস) ও সাসপেক্ট আইডেন্টিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেমের (এসআইভিএস) মতো সফটওয়্যার হালনাগাদ করে চোর-ছিনতাইকারীদের তালিকা তৈরি করে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
নারী নির্যাতন ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধের প্রধান নিয়ামক মাদক- এ কথা উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, শুধু অধিক পরিমাণ মাদক উদ্ধার করলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না।
মাদকসেবীদের চিহ্নিত করে তাদের মাদক সেবন থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। থানায় জিডি ও মামলার ক্ষেত্রে ডিএমপি সদর দপ্তর থেকে সেবাপ্রত্যাশীদের কাছে ফোন করে পুলিশের সেবার মান সম্পর্কে জানতে চাইলে ৯৫ ভাগের বেশি মানুষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
এটা ভালো দিক। এটাকে ধরে রেখে আরো ভালো সেবা নিশ্চিত করতে হবে।