তৈরী পোশাকের উপর নির্ভর করে থাকলে আমাদের চলবে না। দেশের আইটি, ঔষধ, চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, লাইট ইঞ্জনিয়ারিং, সিরামিক, বৈদ্যুতিক সামগ্রী রফতানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু টিপু মুনশি।
দেশের প্রধান রফতানি পণ্য তৈরী পোশাক খাত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। আশা করা যায় এ বছরের শেষে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হবে। পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সুযোগ আসতে পারে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশ সরকার সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছে।
বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের গেষ্ট অফ অনার বিল্ড-এর চেয়ারম্যান আবুল কাশের খান এবং ডিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট সামস মাহমুদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও র্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. আবু ইউসুফ।
কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্বের ব্যবসা-বাণিজ্য বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বাংলাদেশও তা থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছিল। বাংলাদেশ যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। কোভিড-১৯ শেষ হবার পর আমরা আবার ঘুড়ে দাঁড়াবো, আমরা সেটা পারবো। সামনে আমাদের জন্য শুভদিন অপেক্ষা করছে।
বিশ্ব বাণিজ্যের সুযোগ কাজে লাগানোর সময় এসছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে সম্মিলিত ভাবে কাজ করতে হবে। পরিবর্তিত এবং প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্যে অনেক কিছু হবে। চায়না এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ চলছে। জাপান চায়না থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। নিজের সক্ষমতা ও যোগ্যতা দিয়ে বিশ্ববাণিজ্যে জায়গা করে নেয়ার সময় এসেছে। সময় নষ্ট না করে দ্রুত এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে।
সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এ টাস্ক ফোর্স কাজ করে যাচ্ছে। আগামী এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম এফটিএ স্বাক্ষর করবে ভূটানের সাথে। এর পর পর্যায়ক্রমে বেশ কিছু দেশের সাথে এফটিএ স্বাক্ষর করবে। ইন্দোনেশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের সাথে আলোচনা অনেক এগিয়ে গেছে।