ইভটিজিং ও ধর্ষণ ঠেকাতে নেতাকর্মীদের পাহারা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।
এ ছাড়া নুর গংদের দ্বারা শুরু হওয়া ধর্ষণ সারাদেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে ধর্ষণবিরোধী মিছিল ও সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
জয় বলেন, গত কয়েক দিন ধরে আমরা ধষর্কের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ১৮ দিন ধরে ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
কিন্তু কই সেই ধর্ষণের মাস্টারমাইন্ড? সেই ধর্ষককে তো এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি? তাহলে আমরা কি ধরে নেবো? তারা কি অনেক পাওয়ারফুল? কখনই না।
নুর-রাশেদের প্রতি ঈঙ্গিত করে লেখক ভট্টাচার্য বলেন, তারা এই (ধর্ষণবিরোধী) আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চায়, সরকারবিরোধী আন্দোলনে রুপ দিতে চায়। কেন সরকার নিয়ে আপনাদের কী সমস্যা? সবাইকেই তো গ্রেপ্তার করা হয়েছে শুধু মাত্র তাদের এজেন্ডা বাহিনী ছাড়া। তাদের গ্রেপ্তার করুন।
তাহলে সব ধর্ষক ভয় পাবে। যে বাবা তার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে সেখানে নৈতিক স্খলন ছাড়া আর কোনো কারণ আছে?
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনার আওতার মধ্যে যদি কোনো মা-বোনকে ধর্ষণ করা হয়, শ্লীলতাহানি বা ইভটিজিং করা হয়, সাথে সাথে তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। ধর্ষকদের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজিয়ে আমরা তাদের শাস্তি নিশ্চিত করবো।
সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, সারা বাংলাদেশের যেখানেই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, সবার আগেই ছাত্রলীগ রাজু ভাস্কর্যে প্রতিবাদ করেছে।
কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো বাংলাদেশের মেধাবী তরুণ সত্য ইতিহাস বাদ দিয়ে এখন ফেসবুকের ইতিহাস গ্রহণ করেছে।