বাংলাদেশ এবং ভুটানের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর ব্যাপারে একমত হয়েছেন বাংলাদেশ-ভুটান এর প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিংয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তিকে লাভজনক করে তুলতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
তিনি ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধার্থে জাহাজগুলো যাতে সহজে নোঙর করতে পারে সে জন্য ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেন।
বৈঠকে দুদেশের প্রধানমন্ত্রী পারস্পরিক স্বার্থে বিশেষ করে বাণিজ্য ও যোগাযোগের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। দুনেতা জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে এক সাথে কাজ করতে সম্মত হন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতের সহযোগিতায় দ্বিপক্ষীয় এবং ত্রিপাক্ষিক জলবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সমঝোতা স্মারক তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ভুটানিজ শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি ভিসা ব্যবস্থা চালু করার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান। জবাবে শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি দেখার জন্য নির্দেশ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিশেষ করে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে ভূটানের প্রতি সহযোগিতা জোরদার করা হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ভুটানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ কে এম শহিদুল করিম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টিসিল এবং চিফ অব প্রটোকল দাসো ইউগেন গঙ্গোপেল এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দুই প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ ৪৫ মিনিট একান্তে বৈঠক করেন।