কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশন (কেইসি) পদ্মা সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ এবং টোল আদায়ের কাজ জিতে নিয়েছে। যদিও পদ্মা সেতুর নির্মাণের সাথে চীন জড়িত, কিন্তু এর রক্ষণাবেক্ষণ এর কাজ এক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ারকে বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ বুধবার অর্থমন্ত্রী এএইচএম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে কেবিনেট কমিটির মিটিং এ এই অনুমতি দেয়া হয়। বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ মেগা প্রকল্প পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প। এই প্রকল্পের মোট ৪১ টি স্প্যানের ভেতর ইতোমধ্যে ৩১ টি স্প্যান বসানো শেষ। স্থাপিত স্প্যানে জাজিরা প্রান্তে দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলছে রোড স্লাব এবং রেল স্লাব বসানোর কাজ। কিন্তু মাওয়া প্রান্তে মূল নদীতে স্প্যান বসানো যায়নি তিব্র স্রোত এবং পানি প্রবাহের জন্য।
তাই, মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। স্প্যান বসানোর কাজ আপাতত বন্ধ আছে। তবে ধারনা করা হচ্ছে যে বর্ধিত সময়ের ভেতরেই সেতুর কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার মিনিস্ট্রি অব ল্যান্ড এন্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার এফেয়ার্স এর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবার সাথে সাথে কেইসি কে অনুরোধ জানানো হয় পদ্মা সেতুর পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ কাজ শুরু করতে।
এর প্রেক্ষিতে ইকোনমিক রিলেশনস ডিভিশন (ই আর ডি) সেতু বিভাগ কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলে। এরপর সেতু বিভাগের অনুরোধে কেইসি সেতু রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার তথ্য উপস্থাপন করে। এরপর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সেতু বিভাগ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কেইসি এর সাথে এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়।