পরিবেশবান্ধব উন্নত বাংলাদেশ গঠনে ইঞ্জিনিয়ারদের আরো অবদান রাখতে হবে। গ্রাহক সেবা দেওয়াই ব্রত থাকা প্রয়োজন। গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে সর্বদা একাগ্রচিত্তে কাজ করতে হবে।
রবিবার ভার্চুয়ালি বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমন্টে ইনস্টিটিউট (বিপিএমআই) আয়োজিত ‘ডেসকো-তে নব-নিযুক্ত প্রকৌশলীদের ৫০ কর্ম দিবস ব্যাপী বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। উন্নত বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে নিজেদের মাইন্ডসেট পরিবর্তন করতে হবে। উন্নত দেশে প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার হয়।
আমাদের দেশেও প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে। প্রযুক্তির ব্যবহার যতই বাড়বে স্বচ্চতা ও জবাবদিহিতা ততই বাড়বে। আমরা সব সময়ই জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চাই। এটা আমাদের গ্রাহক সেবা দিতে আন্তরিক হতে সহায়তা করবে।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় বলেন, ইঞ্জিনিয়ারদের প্রযুক্তির ব্যবহারের দক্ষতার সঙ্গে সঙ্গে নেতৃত্বেও দক্ষ হওয়া প্রয়োজন। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজ করলে উন্নত আধুনিক বাংলাদেশ গড়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এসময় তিনি সেবার মানসিকতা নিয়ে বিদ্যুৎ পরিসেবা জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান।
বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ গত ৬ জুলাই শুরু হয়েছিল, ৫০ কর্ম দিবস পর রবিবার তার সমাপ্তি হলো।
ডেসকোতে নবনিযুক্ত ৪৮ জন সহকারী প্রকৌশলী ও ৯ জন সহকারী ব্যবস্থাপকসহ মোট ৫৭ জন প্রশিক্ষণার্থী ছিল। ১১টি মডিউলে সম্পূর্ণ কোর্সটি ভার্চুয়াল প্লাটফরমে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমন্টে ইনস্টিটিউটের রেক্টর মাহবুব-উল-আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিদ্যুৎ সচিব ড. সুলতান আহমেদ ও ডেসকোর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোছা. মাকসুদা খাতুন বক্তব্য রাখেন।