পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন শুরু করেছে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবুধাবি থেকে দেশে ফিরলে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঠিক করা হবে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সিনক্রোনাইজিং (সংযুক্ত) করে কেন্দ্রটি সফলভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানির (বিসিপিসিএল) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ এম খোরশেদুল আলম। এখন বিভিন্ন ধাপে উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে।
এ এম খোরশেদুল আলম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর সুবিধাজনক সময়ে কেন্দ্রটি উদ্বোধন করবেন। ইতোমধ্যে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়েছে।’
প্রকল্প পরিচালক গোলাম মাওলা বলেন, ‘আজকে বেশ কিছুক্ষণ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালানো হয়েছে। এখন ১২০ মেগাওয়াট গ্রিডে বিদ্যুৎ যাচ্ছে। দুপুরের পর আমরা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেবো। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) আবারও চালাবো। প্রতিদিন অল্প অল্প করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার পর তা বাড়ানো হবে। পাশাপাশি এই মাসজুড়েই চলবে যন্ত্রপাতিগুলো।’
তিনি আরো বলেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন শুরু হওয়া নিয়ে সবার মাঝে এক ধরনের উচ্ছ্বাস ছিল। তাছাড়া কয়লাচালিত তো বটেই, এটি দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র। সব মিলিয়ে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। এর আগে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদনক্ষমতা ছিল ৪৫০ মেগাওয়াট, যা গ্যাসচালিত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আমদানি করা কয়লা উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশ এবং চীনের সমান অংশীদারিত্বে নির্মাণ করা হয়েছে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ। কেন্দ্রটি যৌথভাবে নির্মাণ করেছে রাষ্ট্রীয় নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং চীনের ন্যাশনাল মেশিনারি এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট করপোরেশন (সিএমসি)। এদিকে দুই বিলিয়ন ডলার বা ১৬ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে নির্মিত এই কেন্দ্রের ঋণ সহায়তা দিয়েছে চীনের এক্সিম ব্যাংক। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুটি ইউনিট রয়েছে। প্রথম ইউনিট ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। সমান ক্ষমতার দ্বিতীয় ইউনিটটি উৎপাদনে আসবে আগামী মে মাসে।
উল্লেখ্য, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ।