রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় স্ত্রী মিন্নিসহ ছয় আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এ মামলায় চার আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ এবং রিফাতের বাবা।
বুধবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।
মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এবং বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেছেন, রিফাত শরীফ হত্যার মাস্টার মাইন্ড ছিলেন তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। মিন্নিসহ ছয়জনের ফাঁসির রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
সমাজে যেন এমন অপরাধ আর না হয়, সেজন্য এ রায় ভবিষ্যতে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ছেলের হত্যার সঠিক বিচার পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন রিফাত শরিফের বাবা মো. আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ।
তবে রায়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে মিন্নির বাবা মো. মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম। কিন্তু মিন্নির প্রতি অবিচার করা হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে যাব।
আলোচিত এই হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক বাকি ১৪ আসামির বিচারকাজও চলছে।