বাংলাদেশ পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) পরিদর্শন করেছেন মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এমপি। মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। মতবিনিময় কালে তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, আইজিপি ড.বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার), ডিএমপি কমিশনার মোহা: শফিকুল ইসলাম, বিপিএম (বার), এন্টি টেররিজম ইউনিট প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো: কামরুল আহসান, বিপিএম (বার), এন্টি টেররিজম ইউনিটসহ বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
এ সময় তিনি এটিইউ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায়ও যোগদান করেন। পবিত্র কোরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে সভার কার্যক্রম শুরু হয় এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন এন্টি টেররিজম ইউনিট প্রধান ও অনুষ্ঠানের সভাপতি মো: কামরুল আহসান, বিপিএম (বার)।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, বাংলাদেশ কখনই জঙ্গিবাদকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়নি, দিবেও না। বর্তমান সরকার জঙ্গীবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। এটা শুধু মুখের কথা নয়, সরকারের বিভিন্ন কমিটমেন্ট এবং গৃহীত কার্যক্রমের ফলে এটা দৃশ্যমান বাস্তবতা। জঙ্গিবাদ দমনে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আপসহীন এবং আন্তরিক। তিনি পুলিশ বাহিনীর আধুনিকায়নে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
তিনি আরো বলেন হলি আর্টিজান হামলার পর দ্রুততম সময়ে সামগ্রিক প্রয়োজনের ভিত্তিতে আমরা এন্টি টেররিজম ইউনিট সৃষ্টি করেছি, আইনগত শক্তিশালী ভিত্তি ভূমির উপর দাঁড় করিয়েছি। অত্যন্ত স্বল্প সময়ের মধ্যে বিশেষায়িত এ সংস্থাটি প্রতিষ্ঠাকালীন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও জনমানুষের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে, বেশকিছু উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে। তিনি এই ইউনিটের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণের অঙ্গীকার করেন।
সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন বলেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশ পুলিশের সার্বিক উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। সরকার বাংলাদেশ পুলিশকে একটি আধুনিক ও তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে সব ধরনের কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনের লক্ষ্যে গঠিত বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট হিসেবে এন্টি টেররিজম ইউনিট পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। তিনি আরো বলেন এটিইউর সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টি বর্তমানে সরকার গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে।