প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পেছনে ফিরে তাকানোর কোনো সুযোগ নেই। এখন শুধু আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পালা।
সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে দেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের শোষণ-বঞ্চনামুক্ত, ক্ষুধা-দারিদ্র্য-নিরক্ষরতামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করব, ইনশাল্লাহ। এটাই আজকের দিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা।
বুধবার (১৭ মার্চ) বিকেলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন যে অবস্থানে পৌঁছেছে, সেখান থেকে তাকে সহজে অবনমন করা বা নামানো যাবে না।
তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ, আমরা এই করোনাভাইরাস মহামারির অভিঘাত সফলভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। তবে আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের দিনটি আমাদের জন্য অত্যন্ত মাহাত্ম্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। ১৭ মার্চ, ১৯২০ সালের এই দিনে বাংলাদেশের এক নিভৃতপল্লী টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নিয়েছিল এক শিশু, পিতা শেখ লুৎফর রহমান ও মাতা সাহারা খাতুনের কোলে।
টুঙ্গিপাড়া গ্রামকে আলোকিত করে যে শিশু এ ধরিত্রীতে আগমন করেছিল সেই শিশুই আলো জ্বালিয়েছিল বাঙালি নামের এক জনগোষ্ঠীর জীবনে। এনে দিয়েছিল স্বাধীনতা।
১৭ মার্চ আমরা প্রতিবছর জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে উদযাপন করি। শিশু দিবসে প্রতিটি শিশুর জন্য আমার আন্তরিক ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। এ বছর আমাদের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূরণ হচ্ছে। আমরা মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী একযোগে উদযাপন করছি।
এ সময় তিনি স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিব জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ ও ফার্স্ট লেডি ফাজনা আহমেদকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। ভ্রাতৃপ্রতিম মালদ্বীপের জনগণের প্রতিও আন্তর্জাতিক শুভেচ্ছা জানান তিনি।
এ ছাড়াও অনেক দেশের সরকারপ্রধান, রাষ্ট্রপ্রধান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিশিষ্টজনেরা যেসব বার্তা পাঠিয়েছেন প্রতিদিনের অনুষ্ঠানমালায় একে একে সেগুলো উপস্থাপন করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।