ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির মৃত্যুতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে বাংলাদেশে।
আজ বাংলাদেশের সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে।
এছাড়া বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে বলে জানা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার দিল্লির লোদি রোডে গান স্যালুটের মাধ্যমে, চোখের জলে, ফুলেল শ্রদ্ধায় শেষবিদায় জানানো হয় বাংলাদেশের এই অকৃত্রিম বন্ধুকে।
শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে গেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে দল-মত-নির্বিশেষে সর্বস্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শ্রদ্ধা জানান নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন।
মুক্তিযুদ্ধে অনন্য ভূমিকা রাখা রাজনীতিক ও নড়াইলের জামাইবাবু প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে আজ বুধবার রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে বাংলাদেশ।
গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, আজ দেশের সব সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। অন্যদিকে ভারতে সোমবার থেকেই পালিত হচ্ছে সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক; সাত দিনই জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
চিকিৎসাধীন থাকাকালে পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছিল ভারতের এই সাবেক রাষ্ট্রপতির। তাই দিল্লির রাজাজি রোডের বাড়ি থেকে শুরু করে লোদি রোড মহাশ্মশান—সব ক্ষেত্রেই কভিড-১৯ প্রটোকল মেনে শেষকৃত্য করা হয়। পিপিই পরেই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করেন তাঁর ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়।
পরিবারের অন্য সদস্যরাও পিপিই পরে শামিল হয়েছিলেন শেষকৃত্যে। এ ছাড়া কভিড প্রটোকল মেনে শ্মশানেও লোকসংখ্যা সীমিত রাখা হয়েছিল। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করার পর তাঁর অস্থিভস্ম বিসর্জন দেওয়া হবে হরিদ্বারে। প্রণবের এই শেষবিদায়ের মধ্য দিয়ে অবসান হলো পাঁচ দশকের বর্ণময় একজন বাঙালি রাজনীতিবিদের এক অধ্যায়ের।