প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে যথাসময়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে দেশ এখন সঠিক পথেই রয়েছে।
বর্তমান সরকার বিভিন্ন সময়োপযোগী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে এবং এসডিজি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সরকারি ও বেসরকারি খাতের উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে সম্পৃক্ত করে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
শনিবার রাজশাহীতে ভার্চুয়ালি একটি কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকারের ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর দিনব্যাপী এই কর্মশালায় সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন পেশাজীবী ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অংশীদাররা যোগ দেন।
লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের-এর লেজিসলেটিভ রিসার্চ অ্যান্ড রিফর্ম ফর প্রোমোটিং অ্যান্ড এনফোর্সিং নন-ডিস্ক্রিমিনাটোরি ল’স অ্যান্ড পলিটিকস’ প্রকল্পের পক্ষ থেকে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রবৃদ্ধি, সামাজিক উন্নয়ন, শক্তিশালী অবকাঠামো, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, প্রযুক্তি ও পরিবেশগত সুরক্ষার মতো সর্বাধিক প্রাধান্যপ্রাপ্ত ইস্যুগুলোতে সাফল্য লাভ করেছে।
১০৭০ সালে এদেশে দারিদ্রের হার ছিল ৮২ শতাংশ। ২০১৯ সালে এই হার হ্রাস পেয়ে ২০.৫ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। জীবনযাত্রার ব্যয় ৭২.৮ থেকে হ্রাস পেয়ে ৪৭.১৪ তে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা চলমান কভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভারতের তুলনায় অনেক ভালো অবস্থায় রয়েছি। আমরা নিরাপদ খাবার পানি, স্যানিটেশন ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন নিশ্চিত করেছি।
কেউ বাকী থাকবে না’ কে মূলমন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করে কায়কাউস বলেন, এসডিজি এর মৌলিক লক্ষ্য হলো সকলের জন্য একটি আরো ভাল ও টেকসই ভবিষ্যত অর্জন করা। এসডিজিএস লক্ষ্য অর্জনে অনেক বাধা আছে।
লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মঈনুল কবিরের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানটিতে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল আলম, মেট্রোপলিটন দায়রা জজ ইলিয়াস হোসেন ও প্রকল্পটির উপ-পরিচালক ওয়াদুদ হোসেন।
প্রকল্প পরিচালক ড. মুহাম্মদ মহিউদ্দিন মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রকল্পটির লক্ষ্য ও বাস্তবায়ন কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন।
আইনের চোখে সকলেই সমান উল্লেখ করে কর্মশালায় আলোচকরা সকলের জন্য সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার নিশ্চিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনটি পৃথক গ্রুপ আলোচনায়, অংশগ্রহণকারীরা যখন যেখানে প্রয়োজন হবে সেখানে কিভাবে প্রত্যেক মানুষের জন্য সমানভাবে সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার নিশ্চিত করা যাবে সে বিষয়ে তাদের সুপারিশ ও মতামত ব্যক্ত করেন।