কাতার প্রবাসীদের মৃ’ত দেহ বিনা পয়সায় বহন করছে জাতীয় পতাকাবাহী উড়োজাহাজ পরিচালনা সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। শুধুমাত্র কাতার বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে মৃ’ত ব্যক্তির একটি সার্টিফিকেট নিয়ে আসলেই বিনা খরচে দেশে পরিবারের কাছে মৃ’ত দেহ পৌঁছে দেয়া হচ্ছে বলে জানালেন কাতারে নিযুক্ত বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজার রেজাউল আহসান। এমন পদক্ষেপে স্বাগত জানিয়েছেন প্রবাসীরা।
কাতারে আগে কোন প্রবাসীর মৃ’ত্যু হলে মৃ’ত দেহ দেশে নেয়ার জন্য নিজেরাই বা কাতারি মালিককে খরচ বহন করতে হতো। এই ঝামেলার কারণে অনেক সময় বাধ্য হয়ে লা’শ কাতারে দাফন করা হতো। বিমানের এমন উদ্যোগের ফলে স্বজনের লাশ দেশে নিয়ে যেতে পারছেন বলে জানালেন প্রবাসীরা।
এক প্রবাসী বলেন, আমার একজন ভগ্নীপতি কাতারে কিছুদিন আগে মা’রা গেছেন। মারা যাওয়ার পরে আমাকে তারা কিছু কাগজপত্র দিয়েছেন এবং বিমানে ওঠার জন্য তারা আমাকে ফ্রি দুইটা টিকিট দিয়েছেন। এ জন্য লা’শটা আমি দেশে পাঠাতে সক্ষম হয়েছি।
আরেক প্রবাসী বলেন, যে কোনো প্রবাসী মা’রা গেলে এয়ারপোর্টে গেলে তার পরিবারকে ৩৫ হাজার টাকা দেয়া হয় দাফনের জন্য।
তার সঙ্গে আর ৩ লাখ টাকা দেয়া হয় তার পরিবারের খরচের জন্য। বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাতার প্রবাসীদের মৃ’ত দেহ ফ্রিতে নেয়া হয়। যা নিজ খরচে নিলে বাংলাদেশের ৮০ হাজার টাকা খরচ হতো বলে জানালেন, বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজার রেজাউল আহসান। তিনি বলেন, এটা বাংলাদেশ সরকারের ইচ্ছায় এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা বাংলাদেশিদের এই সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসছি।
কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ বলেন, যারা বিভিন্ন দু’র্ঘটনায় মা’রা যান এবং নরমাল মৃ’ত্যু হয়, তাদের মৃ’ত দেহ সুপরিকল্পিতভাবে দেশে পাঠানোর জন্য ব্যবস্থা করেছি। এই বিষয়ে তারা যেনো কোনো ধরণের অব্যবস্থাপনার শিকার না হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখছি। শুধু কাতার নয়, সরকারি খরচে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রবাসী শ্রমিকের মৃ’ত্যু হলে লাশটি যেন বিনা খরচে বহন করে প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয় এমন দাবি প্রবাসীদের।