রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে তুরস্কের জনগণ ও সরকার সমর্থন দেওয়ায় তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, কিন্তু আমি মনে করি, প্রায় তিন বছর হয়ে গেছে, তাই রোহিঙ্গাদের তাদের নিজেদের দেশে ফিরে যাওয়া উচিত। তুর্কি সরকার এই ইস্যুতে ভূমিকা রাখতে পারে।
সোমবার বিকেলে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে তুরস্কের আঙ্কারায় নবনির্মিত বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এবং তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চোভুসৌলো আঙ্কারায় কমপ্লেক্স উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, আমাদের দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক শুরু হয়েছিল ১৯৭৪ সালে, প্রায় ৫০ বছর আগে। অবশ্য আমাদের সম্পর্কের সূচনা ত্রয়োদশ শতক থেকেই, যখন তুর্কি জেনারেল ইখতিয়ারউদ্দীন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি বাংলা বিজয় করেন।
পারস্পরিক আস্থা-বিশ্বাসে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে দুই দেশের সম্পর্কের শিকড় অনেক গভীরে। তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ককে বাংলাদেশ বিশেষ গুরুত্ব দেয়।
রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ অর্জনের লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশে আরো অনেক কূটনৈতিক অফিস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বৈশ্বিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করবে বাংলাদেশ। আঙ্কারায় এই স্থায়ী দূতাবাস কমপ্লেক্স তুরস্কের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কোন্নয়নে বাংলাদেশের অগ্রাধিকারকেই প্রকাশ করে।
তিনি বলেন, আমি জেনে আনন্দিত যে, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবেন। আমি তাঁকে স্বাগত জানাই। আপনি কখন আসবেন আমরা সেই অপেক্ষায় থাকব।
খুব শিগগিরই ঢাকায় তুরস্কের নবনির্মিত দূতাবাস ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান শেখ হাসিনা।