ফের লকডাউনের চিন্তা আপাতত সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
বরং করোনা থেকে সুরক্ষায় মাস্ক ব্যবহারের ওপরই জোর দিচ্ছে সরকার, মাস্ক ছাড়া সরকারি-বেসরকারি কোনো সেবাই দেওয়া হবে না বলে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে অংশ নেন।
মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, আজকেও কভিডের সেকেন্ড ওয়েভ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের অবস্থা খুবই খারাপ। বেশির ভাগ দেশ লকডাউনে গেছে।
গতকালও ফ্রান্স লকডাউন দিয়েছে। ফ্রান্সে অলরেডি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, কেউ অনুমতি ছাড়া বাসা থেকে বের হতে পারবে না। আগে পারমিশন নিতে হবে, তা-ও অনুমতি পাবে এক ঘণ্টার জন্য।
তিনি বলেন, এটা আমরা এনশিওর করে দিচ্ছি। কোনোভাবেই মাস্ক ছাড়া সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠোনে যেন সার্ভিস না পাওয়া যায়।
আমরা সব অফিসে সেই নির্দেশনা পাঠিয়ে দিয়েছি। যেকোনো পাবলিক প্লেসেই মাস্কের বিষয়ে এই কঠোর নির্দেশনা থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন যে আমরা যেভাবে আছি সেটা কমফরটেবল, কিন্তু এতে সন্তুষ্টির কোনো কারণ নেই। সবাইকে কেয়ারফুল থাকতে হবে। বিশেষ করে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’- এটাকে ব্যাপকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
সামাজিক আন্দোলন, ক্যাম্পেইন বা লিগ্যাল- যেভাবেই হোক এটাকে এনশিওর করতে হবে। কোনোভাবেই মাস্ক ছাড়া যাতে কেউ কোথাও না আসে। এটা অলরেডি সব জায়গায় বলে দিয়েছি।
এর মধ্যে সব সচিব, ডিপার্টমেন্ট, নন-গভর্নমেন্ট সবাইকে ম্যাসিভলি বলে দিয়েছি। সে জন্য আপনাদের (গণমাধ্যম) সবচেয়ে বেশি উদ্যোগ নিতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, গতকাল মসজিদে বলে দিয়েছি, মাস্ক ছাড়া মসজিদে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না, বায়তুল মোকাররমের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আমি সারপ্রাইজড হয়েছি, কেউ তিন ফুটের গ্যাপ ছাড়া দাঁড়াচ্ছে না এবং নিয়ম মেনে চলছে।
আর মসজিদের কর্মকর্তা-কর্মচারী কেউ যদি মাস্ক ছাড়া মসজিদে যায় তাহলে তাকে সে জন্য ‘পে’ করতে হবে। মানুষকে বোঝাতে হবে, টায়ার্ড হওয়ার উপায় নেই।
আমরা সব অফিসে সেই নির্দেশনা পাঠিয়ে দিয়েছি। যেকোনো পাবলিক প্লেসেই মাস্কের বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা থাকবে বলেও জানান সচিব।