আজ মন্ত্রীসভা এয়ার ফ্রান্স ও বাংলাদেশ বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরের জন্য একটি চুক্তির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে। এই চুক্তির আওতায় ফ্রান্সের কাছ থেকে অত্যাধুনিক রাডার সিস্টেম কেনা হবে, যা দিয়ে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রমকারী সব উড়োজাহাজকে শনাক্ত করা যাবে।
ফ্রান্সের ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশনের সঙ্গে চুক্তির ফলে এই রাডার সিস্টেম হাতে পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ, যার ফলে এয়ার ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের আকাশে যেকোনো প্লেন উড্ডয়ন করলেই তা শনাক্ত করা যাবে। সোমবার (২০ জুলাই) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রস্তাবিত এই চুক্তির অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এটার ফলে বিভিন্ন স্ট্যান্ডার্ডস ও রেকমান্ডেড প্র্যাকটিস বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও ফ্রান্স একসঙ্গে কাজ করবে। এতে করে আমরা এয়ার নেভিগেশনে সুবিধা পাব। বেসামরিক বিমানের উড্ডয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ পরিকল্পনা আরো উন্নত হবে। এয়ারপোর্টের ব্যবস্থাপনা আরো উন্নত হবে। বেসামরিক বিমানের সুরক্ষিত উড্ডয়নের বিষয়গুলোও তারা (ফ্রান্স) দেখবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সব থেকে বড় জিনিস হচ্ছে- তারা আমাদের নতুন একটা রাডার সিস্টেম দিচ্ছে, সেই রাডার সিস্টেম দেওয়ার ফলে বাংলাদেশের টেরিটরি দিয়ে যত প্লেন যাবে সবই রাডারের মধ্যে চলে আসবে এবং সবাইকে একটা নির্দষ্ট ফি দিতে হবে। এখন আমরা এটা কাভার করতে পারি না। কারণ আমাদের যে রাডার সিস্টেম তাতে সব প্লেনকে আমরা কাভার করতে পারি না।
চুক্তি অনুযায়ী এয়ার ফ্রান্স জিটুজি ভিত্তিতে রাডার সিস্টেম দেবে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, তখন প্রত্যেকটা প্লেনের জন্য মিনিমাম ৫০০ ডলার করে ফি আমাদের দিতে হবে। আমরাও যেসব দেশের এরিয়ার মধ্য দিয়ে যাই তাদের একটা ফি দিতে হয়।