খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ৭৫’র পর বঙ্গবন্ধুর নাম সংবাদপত্রে ছাপাতে বাধা দিয়েছিল জিয়া সরকার।
শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ডিআরইউ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও গণমাধ্যম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর সাথে গণমাধ্যমের ভালো সম্পর্ক ছিল। সাংবাদিকরা বঙ্গবন্ধুর চিন্তা ভাবনাকে আগলে রেখেছিলেন। এখনো আগলে রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধু শুধু একজন ব্যক্তি নন, বঙ্গবন্ধু একটি আদর্শ, বঙ্গবন্ধু একটি প্রতিষ্ঠান। সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতির পিতা। বঙ্গবন্ধুকে সার্বজনীন করতে চাই। সকল বিতর্কের উর্ধ্বে উঠে বঙ্গবন্ধুকে ধরে রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের কোনো অগ্রগতি হতে পারে না। ইতিহাসকে বাদ দিয়ে কখনো পথ চলা যায় না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছিলেন বলেই স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ এ জায়গায় পৌঁছেছে। এদেশে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।
রাজাকার আলবদরদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে না। পৃথিবীর ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুই একমাত্র নেতা যিনি দুটি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সামনের সারিতে ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু একমাত্র নেতা যিনি রাজনৈতিক দল সৃষ্টি করে দলকে মানুষের কাছে নিয়ে গেছেন। জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য দ্বারে দ্বারে গেছেন।
জনগণের বিশ্বাস স্থাপন করেছেন এবং তাঁর প্লাটফর্মে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন। সে দলের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে, আমরা জয়যুক্ত হয়েছি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও দি ডেইলি অবজারভার পত্রিকার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ জার্নাল এর সম্পাদক শাহজাহান সরদার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সময়ের আলো পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক শাহনেওয়াজ দুলাল, ডিআরইউ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুক্কুর আলী শুভ, ডিআরইউ’র অর্থ সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ এবং ডিআরইউ’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহবায়ক হাবীবুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিআরইউ’র সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী।