বঙ্গবন্ধুর খু’নি এম রাশেদ চৌধুরীর যুক্তরাষ্ট্রে ‘অ্যাসাইলাম’ (আশ্রয় প্রার্থনা) রায়ের নথিপত্র খতিয়ে দেখছেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল। আর এই তৎপরতাকে রাশেদ চৌধুরীর আশ্রয় পাওয়া মা’মলাটি নতুন করে চালু করার উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন আ’ইনজীবীরা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জার্নাল পলিটিকো গতকাল শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য দিয়েছে।
রাশেদ চৌধুরীর আ’ইনজীবীর দেওয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এই ধরনের উদ্যোগকে ‘নজিরবিহীন’ উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল যদি মা’মলা আবার সচল করেন এবং তাতে যদি রাশেদ চৌধুরীর আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়, তবে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব’হিষ্কার করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে এনে মৃ’ত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা সহজ হবে।
রাশেদ চৌধুরী বর্তমানে বসবাস করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার কনকর্ড সিটির হাকেলবেরি ড্রাইভের নিজ বাসায়। এর আগে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ জয়ী হওয়ার পরই ব্রাজিল থেকে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে এসে রাজনৈতিক আশ্রয় চান বঙ্গবন্ধুর এই ঘা’তক। তার দুই ছেলে ক্যালিফোর্নিয়ার দুটি প্রাইভেট কলেজে অধ্যয়ন শেষে চাকরি করছেন।
বছরখানেক আগে তার ছোট ছেলের অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে বিয়ে হয়। বিভিন্ন নাম ধারণ করে রাশেদ চৌধুরী নিউইয়র্ক, কানাডাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্র এবং অনলাইন পোর্টালে লেখালেখি করছিলেন। তার নেটওয়ার্কে রয়েছে জামায়াত-শিবির এবং ফ্রীডম পার্টির অর্থে নিউইয়র্ক ও ক্যালিফোর্নিয়ায় দুটি মিডিয়া সিন্ডিকেট।
রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় আবেদনে দাবি করেছিলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হ’ত্যাকাণ্ডে তাঁর ভূমিকা খুব কমই ছিল। বিষয়টি তুলে ধরে পলিটিকো লিখেছে, বাংলাদেশ রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত চায়। আর তাঁর ভাগ্য এখন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল বিল বারের হাতে।
গত ১৭ জুন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল বিল বার নীরবে মা’মলাটি সচল করার উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি তাঁর পূর্ণ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এম রাশেদ চৌধুরীর আদ্যক্ষর ‘এ-এম-আর-সি’ সংক্রান্ত নথি পাঠাতে ইমিগ্রেশন আপিল বোর্ডকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
১৯৯৬ সালে ভিজিটর ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান। এর কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি সেখানে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেন। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে আবেদনের ১০ বছর পর তিনি আশ্রয়ের অনুমতি পান। যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ তার মা’মলায় যুক্তি দেখিয়েছিল, অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়ায় তিনি আশ্রয় পেতে পারেন না। কিন্তু তখন আ’দালত তাঁদের যুক্তি খারিজ করে দিয়ে রাশেদ চৌধুরীর পক্ষে রায় দিয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স’ন্ত্রাসবিরোধী যে আ’ইন আছে তা রাশেদ চৌধুরী ভেঙেছেন কি না সে বিষয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। আই’নজীবীদের বরাত দিয়ে পলিটিকো বলেছে, অ্যাটর্নি জেনারেলের এ উদ্যোগ গুরুতর অপরাধ করে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়া রাশেদ চৌধুরীর মতো অনেকের জন্য বড় বার্তা। এ থেকে নজির সৃষ্টি হচ্ছে যে আশ্রয় পাওয়ার এক দশক পরও মামলা পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে।
রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পেতে বাংলাদেশ বেশ কয়েক বছর ধরে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি পাঠিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে একাধিক বৈঠকে রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর দাবি তুলেছেন। এ ছাড়া দুই দেশের কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনায় প্রায় নিয়মিত ইস্যু রাশেদ চৌধুরী।
গত বছর আগস্ট মাসে ব্যাংককে এক বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে দেখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছিলেন, ‘ডোন্ট আস্ক ইওর রাশেদ চৌধুরী (আপনাদের রাশেদ চৌধুরীর বিষয়ে জানতে চাইবেন না)।’ ড. মোমেন এর আগের বৈঠকেই তাঁকে বলেছিলেন, ‘আপনারা সুশাসনের, আ’ইনের শাসনের কথা বলেন। আমি যদি আমার আ’দালতের রায় কার্যকর না করি তাহলে আমি আ’ইনের শাসন কিভাবে করব। আপনি আমাকে সাহায্য করুন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment