খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্র অবস্থা থেকেই মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিলেন।
তার জীবনাদর্শ বিশাল। এ দেয়াল চিত্রের মাধ্যমে সেই বিশালতার মধ্য থেকে কিঞ্চিৎ তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
খাদ্য ভবনের নিচতলায় স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা শীর্ষক দেওয়াল চিত্রের শুভ উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম এবং খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ভাষা আন্দোলনের সময় রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু জেলে যান। তারপর ৬দফা, ‘৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ‘৭০ এর নির্বাচন এবং সর্বশেষ ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ। ৭ মার্চের তার সেই অমোঘ বাণী “এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম”।
স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আমরা অনেক আগেই সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়তে পারতাম।
বর্তমানে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বৈশ্বিক মহামারি করোনার মধ্যেও অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সবাইকে সকল ভেদাভেদ ভুলে, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবনের বীরত্বগাঁথা, দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস এক নজরে দেখলেই ধারণা লাভ করা যায়। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কর্মকাণ্ডও এখানে ফুটে উঠেছে। দেওয়াল চিত্রটিতে মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষার লড়াই করতে নেমে বাঙালি একটি নতুন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে তা ফুটিয়ে তুলেছে।
রক্তমাখা একুশের পর ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন এবং একই ধারাবাহিকতায় ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলন ধীরে ধীরে সে স্বপ্নটাকে স্পষ্ট করে ফুটিয়ে তুলেছে। পরবর্তীতে একাত্তর সালের ২৫শে মার্চে পাক হানাদার বাহিনীর আক্রমণ এবং তার বিরুদ্ধে স্বাধীনতা পাগল বিক্ষুব্ধ বাঙালি জাতির গণজাগরণ যে সশস্ত্র লড়াইয়ে রূপ ধারণ করেছিল, তাই ছিল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমাদের মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ।