বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ, চেতনা ও মূল্যবোধ অনুসরণ করলে সারা পৃথিবী বৈষম্যমুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, চেতনা, প্রজ্ঞা ও দর্শন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষের কাছে এখনো স্মরণীয়, অনুকরণীয়, এবং চলার পথের চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে।
সোমবার মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষে হতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃক আয়োজিত বঙ্গবন্ধু ও আন্তর্জাতিকতাবাদ আমাদের শিক্ষণীয়শীর্ষক অনলাইনে আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হয়ে এ কথা বলেন।
শেখ মুজিবুর রহমান মানুষের মধ্যে যে মূল্যবোধ ও দর্শন জাগ্রত করেছিলেন ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে জড়িতদের, স্বাধীনতা বিরোধী কুচক্রীমহল রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন জায়গায় পদায়ন করে সেই মূল্যবোধকে নষ্ট করে দিয়েছে।
বঙ্গবন্ধু দূরদর্শী কূটনৈতিক ও দক্ষ সংগঠক ছিলেন। তিনি যেমন সমগ্র দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছেন, অপরদিকে বিশ্ব পরিমন্ডলে অনেক মিত্র সৃষ্টি করেছেন। এসব গুণ তাঁকে বিশ্বনেতায় পরিণত করেছে বলে জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধু আজীবন পৃথিবীতে মানবতার, নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির পক্ষে শান্তির ও সমতার কথা বলেছেন।
আজ খাদ্যে, সবজীতে, ডিমে ও মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে এবং অনেক ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে জানিয়ে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা দেশকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছেন তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা বাস্তবায়ন করবেই।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, গবেষক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ডঃ খন্দকার বজলুল হক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। আরো বক্তব্য রাখেন ব্রাক বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, ওয়াটার এইড এর কান্ট্রি ডিরেক্টর প্রকৌশলী হাসিন জাহান ও দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ডাঃ দিবালক সিং সহ ঢাকা ওয়াসার বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।