বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশ্ব রাজনীতির একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হচ্ছেন সে প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে কৃতি শিক্ষার্থী।
বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক মুক্তির দর্শন ও চেতনা ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বল্প সময়ের ব্যবধানে বাংলাদেশকে উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
তাঁর দুরদর্শী নেতৃত্বের ফলে করোনা মহামারি মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজর কেড়েছে।
উন্নত দেশগুলোর রাষ্ট্র নায়করা করোনাকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তা ও সাহসী নেতৃত্বের প্রশংসা করছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভ জন্মদিন উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন।
শিল্প সচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে সভায় বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান মো: মোস্তাফিজুর রহমান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সালাহউদ্দিন মাহমুদ ও মো: হেলাল উদ্দিন এনডিসি বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব লুৎফুন নাহার বেগম। এতে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও কর্পোরেশনের প্রধানরা ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু যেভাবে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন, তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অভিযাত্রাকে এগিয়ে নিচ্ছেন। তাঁর সফল নেতৃত্বে সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পর বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের পথে দ্রুত এগিয়ে চলেছে।
২০৪১ সালের মধ্যে শিল্পোন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জন টেকসই শিল্পখাতের ওপর নির্ভর করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় শিল্পখাতে সৃষ্ট গতিশীলতা অব্যাহত রাখতে শিল্প মন্ত্রণালয় নতুন কারখানা স্থাপন, পুরাতন কারখানার আধুনিকায়ন এবং যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপনের কাজ করছে বলে তিনি জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব মানবতার মা। বিশ্ব রাজনীতিতে তাঁর অনন্য অবদানের কারণে নির্যাতিত মানুষের নেত্রী, বিশ্ব নেত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ভূয়সী প্রশংসা লাভ করেছেন।
তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ কীভাবে এত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে সারাবিশ্ব অবাক হয়ে আজ সেটি দেখছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর পরিশ্রম ও দিকনির্দেশনার ফলেই সকল প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় গতি এসেছে।
দক্ষ নেতৃত্বে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ২০৪১ সালে উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছে যাবে বলে শিল্প প্রতিমন্ত্রী দৃঢ় আশা প্রকাশ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে শিল্পসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব বাঙালি জাতিকে সব সময় উজ্জীবিত করেছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি নেতৃত্বের প্রাজ্ঞতা ও দুরদর্শীতার নজির স্থাপন করেছেন।
করোনাকালে তাঁর সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ও প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা দেশের শিল্পখাতকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করেছে। এ সময় শিল্পোন্নত দেশগুলোতে যেখানে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের শিল্পখাতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে।
কভিড-১৯ এর মধ্যেও বাংলাদেশের পাট শিল্পখাতে ৫০ শতাংশ, ওষুধ শিল্পখাতে ১৯ শতাংশ, কৃষিখাতে ৩০ শতাংশ এবং তৈরি পোশাক শিল্পখাতে ৪৫.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।