বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার সঙ্গে জড়িত নেপথ্য কুশীলবদের চিহ্নিত করে শ্বেতপত্র প্রকাশে একটি জাতীয় কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
কমিটির বৈঠকে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা এখনো সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু।
বৈঠকে কমিটির সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মোস্তাফিজুর রহমান, মো. শামসুল হক টুকু, শহীদুজ্জামান সরকার, শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার হলেও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অনেকেই ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। যারা ওই হত্যাকাণ্ডে মদদ দিয়েছিল, তারা এখনো ষড়যন্ত্র করছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশকে গড়ে তোলার জন্য তাদের চিহ্নিত করা দরকার।
তাই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শেষে মন্ত্রীসহ সবাই এ বিষয়ে একটি জাতীয় কমিশন গঠনের বিষয়ে একমত হয়েছেন।
সদস্য মো. শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, জাতির পিতার হত্যার পেছনের অনেক ঘটনা জাতি জানে না। এই ষড়যন্ত্রে বিষয়ে অজানা তথ্য যাতে প্রকাশ হয়, সে জন্য কমিশন গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে।
বিদেশে পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের ১৭ জন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের জন্য একটি জাতীয় কমিশন গঠনের সুপারিশ করা হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার চার বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। একদল সেনা কর্মকর্তা এই হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দিলেও পেছনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের কথা আওয়ামী লীগ নেতারা বরাবরই বলে আসছেন।