আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসনে বিশ্বাসী মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার স্বৈরাচারী সরকার, তারা ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না।
সরকারের কোনো কাজ নেই বলেই বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলে।
আমার কাছে খুব ইন্টারেস্টিং লাগে। তারা আগে বলেছে বিএনপি নেই। বিএনপি নাকি একেবারে নিঃশেষ হয়ে গেছে। কিন্তু তাদের সাধারণ সম্পাদকের এখন প্রতিদিন একটাই কাজ, তা হলো বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলা।
ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, বিএনপি এত বেশি করে আছে, এত প্রবলভাবে আছে যে আপনি প্রত্যেক দিন বিএনপিকে নিয়েই কথা বলেন।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে অ্যাগ্রিকালচারিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (অ্যাব) আয়োজিত ‘কভিড-১৯-এর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের কৃষি সেক্টরে কৌশল’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
চতুর্দিকে দুর্নীতি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার একটা কথাও সত্য বলে না। সরকার যে ভাষ্য দেয়, তার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। চতুর্দিকে দেখি যে সবাই কভিডে আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে। আমার ভাই, চাচা-খালা-বোন সবাই আক্রান্ত হয়েছে।
খবর নিয়ে দেখবেন, খুব কম পরিবার আছে যাদের কেউ না কেউ আক্রান্ত হয়নি। ঢাকা উত্তরের মেয়রের পরিবারের ১৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জেলাগুলোতে এখন কোনো টেস্ট হয় না। ওই যে ট্রাম্প বলেছে, ‘নো টেস্ট নো করোনা’।
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্য যে আজকে ভারত স্বীকার করে যে তাদের প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ কমে গেছে, অথচ এরা বলে প্রবৃদ্ধি ১০ ভাগ বেড়ে গেছে।
একবার ভাবুন, একটা সরকার কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে জনগণের সাথে মিথ্যা কথা বলে। এর একমাত্র কারণ জনগণের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এই সরকার সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন, সে কারণে জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়িত্ব নেই।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে জিডিপির ১৮ শতাংশ আর কৃষিক্ষেত্র ১.৮ শতাংশ। কেন? কারণ হলো, জনগণের প্রতি যদি স্টিমরোলার চালাতে হয়, তাহলে তাদের এই পাবিলক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বাড়াতে হবে। তাদের খুশি রাখতে হবে।
সবাইকে একটার পর একটা প্রণোদনা দিতে হবে। গাড়ি দিতে হবে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে বিশেষ বাহিনীর লোকদের গাড়ি কেনার জন্য ৩০ লাখ করে টাকা দিয়েছে।
এখন উপসচিব পর্যন্ত গাড়ি কেনার টাকা পায়। সেই গাড়ি মেইনটেন্যন্সের জন্য মাসে ৫০ হাজার টাকা পাবে। আর আমার কৃষক ভাই খাবার পাবে না। ভ্যানচালক খাবার পাবে না।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা কখনোই হতাশার কথা বলবেন না। হতাশা দিয়ে কখনো লড়াই করা যায় না।
যা করবেন আশা নিয়ে করতে হবে। সামনে সেই আশার লক্ষ্য রাখতে হবে। গণতন্ত্রের সূর্য উঠবেই।