বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ’এটি অত্যন্ত ভালো খবর যে তারা আমাদেরকে ৯৭ শতাংশ পণ্যের ওপর শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা দিবে চীন। আমাদেরকে আজকে তারা জানিয়েছে এবং এই বিষয়ে শুক্রবার বিস্তারিত জানাবো।’ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশকে বড় বাণিজ্য সুবিধা দিতে যাচ্ছে চীন।
বাংলাদেশের আট হাজার ২৫৬টি পণ্য শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে চীনে। যা দেশটিতে বাংলাদেশের মোট রফতানি পণ্যের ৯৭ শতাংশ। স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এই সুবিধা পাবে। চেষ্টা করা হচ্ছে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত হওয়ার পরেও যাতে এই সুবিধা অব্যাহত থাকে। চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান জানান, তিনটি পণ্য ক্যাটাগরিতে আট হাজার ২৫৬টি পণ্যের ওপর চীন এই সুবিধা দিবে।
যার মাঝে প্রথম ক্যাটাগরি হচ্ছে ’সুবিধাপ্রাপ্ত দেশ স্বল্পোন্নত’ যার অধীনে পাঁচ হাজার ১৬১টি পণ্য, দ্বিতীয় ক্যাটাগরি ’সুবিধাপ্রাপ্ত দেশ স্বল্পোন্নত-১’ যার অধীনে দুই হাজার ৯১১টি পণ্য এবং ’সুবিধাপ্রাপ্ত দেশ স্বল্পোন্নত-২’ অধীনে ১৮৪টি পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে।’ তবে কবে থেকে এই সুবিধা পাওয়া যাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগামী জুলাই থেকে বলবৎ হবে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে আমরা এই সুবিধা পাচ্ছি এবং এখন বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ২০২৭-এ যখন আমরা মধ্যম আয়ের দেশে সম্পূর্ণভাবে উন্নিত হবো তখনও যেন এই শুল্কমুক্ত সুবিধা অব্যহত থাকে।’
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার স্পেশাল ও ডিফারেনশিয়াল ট্রিটমেন্টের অধীনে এই সুবিধা অব্যাহত রাখা যাবে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ’আমরা ভালো করছি বলেই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বের হয়ে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত হবো। এই জন্য আমাদের সুবিধা কর্তন করা হলে আমাদের শাস্তি দেওয়া হবে।’
এই সিদ্ধান্তে দেশের ৭০ কোটি ডলারের রফতানি আয় বাড়বে জানিয়ে তিনি বলেন, ’এই শুল্কমুক্ত সুবিধার ফলে একদিকে যেমন রফতানি বাড়বে তেমনি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অধিক পরিমাণে আকর্ষণ করা সম্ভব হবে।’ ইতোমধ্যে স্টিল মিল ও কেমিক্যাল প্ল্যান্ট করার জন্য চীনা বিনিয়োগকারীরা আলোচনা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ’চীনা বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের মতো দেশে বিনিয়োগ করে পণ্য উৎপাদন করার পরে আবার সেটি চীনে রফতানি করে। এই ধরনের রিলোকেশন এখন অনেক হচ্ছে।’