ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের উন্নয়ন অগগ্রযাত্রা বিএনপিসহ তার মিত্ররা দেখতে পায় না। একই সাথে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি, যারা অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা করেন তারাও এই উন্নয়ন অগ্রগতি দেখেন না।
সরকার দায়িত্বে যেহেতু আছে সমালোচনা হবে, সমালোচনা থাকবে, সমালোচনা থাকতে হবে। কিন্তু সমালোচনা যেন অন্ধের মতো না হয়।
বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘সচিত্র বঙ্গবন্ধু’ অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন ও বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, একযুগ পূর্তিতে সরকারের সবচেয়ে বড় সফলতা হচ্ছে দেশের যেমন উন্নয়ন অগ্রগতি হয়েছে তেমনি প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে। দারিদ্র্য কমেছে। বাংলাদেশে এখন ছেঁড়া কাপড় পরা মানুষ দেখা যায় না।
বাংলাদেশে এখন খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না। বাংলাদেশে এখন কবিতায় কুঁড়েঘর আছে, আকাশ থেকে সহজে কুঁড়েঘর দেখা যায় না। এই পরিবর্তন ১২ বছরে শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণে হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ১২ বছর আগে আমরা বলতাম ক্ষুধা এবং দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব। আমরা ক্ষুধাকে ইতোমধ্যেই জয় করতে সক্ষম হয়েছি।
এখন আমাকে একটু বাসি ভাত দেন, সন্ধ্যার পরে শহরের অলিগলিতে কিংবা ভরদুপুরে গ্রাম-গ্রামান্তরে সেই ডাক শোনা যায় না। বাসি ভাতের সমস্যার সমাধান বঙ্গবন্ধুকন্যা গত ১২ বছরে করতে সক্ষম হয়েছেন।
আরো বড় অর্জন হচ্ছে বাংলাদেশ ছিল স্বল্পোন্নত দেশ। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। আমাদের ব্যর্থতা হচ্ছে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও একটি বড় রাজনৈতিক দল যারা স্বাধীনতা চায়নি তাদের দিয়ে রাজনীতি করে, তাদের নিয়ে রাজনীতি করে।
এই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশ থেকে নির্মূল হয়নি এটি আমাদের ব্যর্থতা।
এ সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স ম গোলাম কিবরিয়া বক্তব্য রাখেন।