বড় দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে।
দেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের একটি প্রতিনিধি দল সোমবার গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের নিয়ে কেক কেটে সারা বিশ্বের খ্রিস্টানদের বড় দিনের শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার আছে এবং সেই সমান অধিকার নিয়েই আপনারা থাকবেন।
“জাতির পিতার এটাই স্বপ্ন ছিল। এই বাংলাদেশ হবে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে, সমান সুযোগ নিয়ে বসবাস করবে। আমরা সেই নীতিতে বিশ্বাস করি।”
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সব ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “কাজেই বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে, বিশ্বে একটা মর্যাদার স্থান পাবে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।”
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় যাওয়ার পর বিভিন্ন ধর্মের মানুষের উপর নির্যাতনের কথাও তুলে ধরেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “২০০১ সালের পর বিভিন্ন জায়গায় অনেক হামলা হয়। সেখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলমান সবার ওপরই বিএনপি-জামাত জোট হামলা করেছে।”
শোষিত মানুষের অধিকার আদায় করতে গিয়ে জাতির পিতার আজীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি পঁচাত্তর ট্রাজেডির পর নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফিরে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার কথাও বলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “আমি জানি, এখানে আসলে যে কোনো সময় আমার মৃত্যু হতে পারে। কারণ খুনিরা ঘুরে বেড়াচ্ছে, যুদ্ধাপরাধীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা সমাজে প্রতিষ্ঠিত, তারা ক্ষমতায়। তারপরও ফিরে এসেছিলাম এ দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে।”
বাংলাদেশের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের কল্যাণে নেওয়া সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমও তিনি তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ, ঢাকার আর্চবিশপ কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি রোজারিও, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও, সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি জুয়েল আরেং, সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার উপস্থিত ছিলেন।