বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা বলেছেন, বাংলাদেশ ও জাপান একে অপরের ভাই।
৫০ বছর আগে শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতায় নেতৃত্ব দেন।
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম দেশগুলোর মধ্যে জাপান অন্যতম। বঙ্গবন্ধুকে জাপান সফরে আমন্ত্রণ করাটা ছিল আমাদের জন্য সম্মানের।
সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে শুরু থেকেই জাপান পাশে ছিল, পাশে আছে। গতকাল এক ভিডিও বার্তায় তিনি আরও বলেন, আগামী ২০২২ সালে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক ৫০ বছরে উন্নীত হবে।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে বাংলাদেশের পাশে আছে জাপান, ভবিষ্যতেও থাকবে।
তিনি বলেন, আমি বুঝি যে, এটা বঙ্গবন্ধুর নিজের পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা এমন একটি নকশায় করা, যা জাপানের সদৃশ্য। ঠিক যেমন আমরা একে অপরের ভাই।
জাপান ও বাংলাদেশ উভয়ের মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রয়েছে। দুই দেশের তৃণমূল পর্যায়ের নাগরিকদের মধ্যেও হৃদ্যতার সম্পর্ক রয়েছে।
স্বাধীনতার অল্প কিছুদিন পরই ঘুর্ণিঝড়ে আক্রান্ত বাংলাদেশের জন্য জাপানের শিশুরা অনুদান সংগ্রহে কাজ করেছে।
তেমনি ১০ বছর আগে শক্তিশালী ভূমিকম্পে আক্রান্ত জাপানের জন্য ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই যমুনা বহুমুখী সেতু, ১০০ টাকা ব্যাংক নোটের প্রচলন এবং সোনারগাঁও হোটেল আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের সাক্ষী হয়ে আছে।
বর্তমানে র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি), ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ও মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
আমার বিশ্বাস, মধ্যম আয়ের দেশ হতে বাংলাদেশের যে লক্ষ্য রয়েছে, জাপানের সহায়তা সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করবে।